নাবালিকাকে ধর্ষণ মালদহের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
বাংলার জনরব ডেস্ক : চার বছর আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিজেপি সমর্থকের ন’বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন তৃণমূল নেতা! ২০২১ সালের ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ সংক্রান্ত ওই মামলায় অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেতা, অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল মালদহ জেলা আদালত।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। এর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশেই সেই সময়ে ঘটা খুন-ধর্ষণের তদন্তে নামে সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার অন্তর্গত মোট ৫৫টি ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার পেয়েছিল তারা। তার মধ্যেই একটি ছিল মালদহের মানিকচক ব্লকের এই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত এই প্রথম কোনও মামলায় রায় দিল আদালত।

বৃহস্পতিবারই মালদহের অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় (এডিজে-২ কোর্ট) বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। সাজা ঘোষণা হল শুক্রবার। সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, ‘‘পকসো আইনে মামলা চলছিল। সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ২২ জন। সিবিআইয়ের দায়ের করা ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত কোনও মামলায় এই প্রথম সাজা ঘোষণা হল।’’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ৫ জুন চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল রফিকুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, নির্যাতিতার পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সেই বাড়ির মেয়েকে ধর্ষণ করেন শাসক দলের নেতা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই অভিযুক্ত কারাগারে বন্দি। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে তিনি সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন।
নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটি এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। নাবালিকার মা বলেন, “মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। ওকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল আমাদের।”