সীমান্তে শহীদ সেনা জওয়ান ঝন্টু আলী শেখকে শ্রদ্ধা জানাতে না গিয়ে ভারত মাতাকে অপমান করেছেন শুভেন্দু সুকান্ত দিলীপ!
সেখ ইবাদুল ইসলাম : কাশ্মীরের উধমপুরে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে নিহত সেনা কমান্ডো, ঝন্টু আলী শেখকে শ্রদ্ধা জানাতে শুভেন্দু অধিকারী কিংবা সুকান্ত মজুমদারের মত স্বঘোষিত দেশপ্রেমিকরা যাননি। সবাই গিয়েছিল এরাজের সব কটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি গিয়েছিলেন ঝন্টু আলী শেখ কে শ্রদ্ধা জানাতে ও সম্মান জানাতে। অথচ তথাকথিত দেশপ্রেমিক ভারতের অন্যতম প্রথম সারির দেশভক্ত শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদাররা কেউই শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি। এ থেকে এটা প্রমাণিত দেশের জন্য যদি শহীদ হয়েছেন সেই শহীদকে অপমান করা হয়েছে। অপমান করা হয়েছে দেশকে অপমান করা হয়েছে দেশের মাটিকে অপমান করা হয়েছে দেশমাতাকে। প্রশ্ন উঠেছে দেশের সম্মান রক্ষার জন্য দেশকে বাঁচানোর জন্য পাকিস্তান সীমান্তে যিনি শহীদ হলেন তাকেই যদি সম্মান জানাতে না চান শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা তাহলে অবশ্যই এই সব নেতাদের দেশ প্রেম যে ভন্ডামি সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত গতকাল শনিবার ঝন্টু আলী শেখের লাশ এসে পৌঁছায় নদীয়ার তেহট্র এ। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম কংগ্রেস দল এমনকি এসডিপিআই এর মত ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল। এই শহীদ কে সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিল। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে ঝন্টু আলী শেখ মুসলিম হওয়ার জন্য তার রক্তের কি কোন মূল্য নেই শুভেন্দু সুকান্তের কাছে। শুধু দেশ প্রেমের বড়াই শুধু বড় বড় লেকচার কাজের বেলায় ফাঁকি।
দেশের জন্য শহীদ একজন জওয়ানকে মুসলিম হওয়ার জন্য শ্রদ্ধা জানাবো না এ কেমন দেশ প্রেম সুকান্ত শুভেন্দু। এরপরে হিন্দু একতার কথা বলবেন দেশপ্রেমের কথা বলবেন দেশ ভক্তের কথা বলবেন এসব নাটক ছাড়া যার কিছুই নয় সেটা স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ছে।

অবশ্য রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা বক্তব্য, “অপপ্রচার। দলের স্থানীয় নেতৃত্ব তেহট্টে গিয়েছিলেন। খুব দ্রুত শীর্ষ নেতারাও যাবেন। শহিদের ধর্ম হয় না। যাঁরা বিএসএফকে ধর্ষক বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাঁদের থেকে বিজেপিকে দেশপ্রেম শিখতে হবে না।”
ঝন্টুর দেহ তাঁর তেহট্টের বাড়িতে পৌঁছনোর পরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ দলের নেতারা। সিপিএমের প্রতিনিধিদলও তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। কলকাতা বিমানবন্দরে এবং তেহট্টে ঝন্টুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারাও।

