আন্তর্জাতিক দেশ 

হজের কোটা বেড়ে হল এক লক্ষ ৭৫ হাজার ২৫, মোদি সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতেই সৌদির সিদ্ধান্ত!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদি সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে এবারে সৌদি সরকার হজের কোটা বাড়ালো। ২০২৪ সালে ভারত থেকে সরকারিভাবে হজে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০ জন এবার কোটা বাড়িয়ে তা করা হয়েছে এক লক্ষ ৭৫ হাজার ২৫ জন। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।

সংখ্যালঘু মন্ত্রক জানিয়েছে, সৌদি নির্দেশিকা মেনে তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি- বিমান, সড়ক পরিবহন, মিনা ক্যাম্প, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখা হয়েছে, “ভারত সরকার ভারতীয় মুসলমানদের হজযাত্রা সহজ করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সরকারি স্তরে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে ভারতের হজ কোটা ২০১৪ সালে ১৩৬,০২০ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১৭৫,০২৫ হয়েছে।”

Advertisement

মন্ত্রকের পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “ভারতের হজ কমিটির মাধ্যমে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় চলতি বছরে মূল কোটার আওতায় ১,২২,৫১৮ জন হজযাত্রীর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করছে। সৌদি নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি – বিমান, পরিবহন, মিনা ক্যাম্প, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্য পরিষেবা সম্পন্ন করা হয়েছে।” যদিও প্রশ্ন উঠছিল, ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমানোর সৌদি নির্দেশিকার পর মন্ত্রক কোটা বাড়ালেও লাভ হবে কিনা। সৌদির ঘোষণার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা মন্তব্য করেছিলেন, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে ৫২ হাজারের বেশি ভারতীয় মুসলমানের হজযাত্রা অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ল।

সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে আরও ১০ হাজার তীর্থযাত্রীর জন্য নিজেদের পোর্টাল খুলে দিয়েছে সৌদি আরব প্রশাসন। তাঁদের জন্য দ্রুত যাবতীয় পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৪ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত হজ যাত্রার সম্ভাবনা।

যদিও প্রশ্ন উঠছে, কোটা বাড়িয়ে আদৌ লাভ হবে কিনা! যেহেতু ভারত-সহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি বেঁকে বসেছে সৌদি আরব। এখন দেখার বিষয় হজের কোটা বাড়ানোর পর ভিসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সৌদি সরকার কি অবস্থান নেয়?

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ