শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও ২৬ এর নির্বাচন
শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও ২৬ এর নির্বাচন
অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সাম্প্রতিককালের ধারা বজায় রেখে ফের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল হয়ে গেল এই রায়ের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে কলকাতা হাই -কোর্টের যে রায় ছিল তাকেই সমর্থন জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
তবে রাজ্য সরকার এই দায় এড়িয়ে যেতে পারে না, মনে রাখা দরকার যে দুর্নীতর ছত্রে ছত্রে উঠে আসছে তৃণমূল নেতাকর্মী মন্ত্রী পারিষদদের নাম। শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় এখনো হাজত বাস করছেন তদানিন্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এবং এই রায় যে রাজ্যের পক্ষে মোটেই সুখকর নয় বরং ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে চরম অস্বস্তিকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রায়ের ফলে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা যেমন কর্মহীন হয়ে পড়লেন, তেমনি শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে প্রায় কয়েকশো বিদ্যালয় যার ফলে অন্ধকারের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, গরমের ছুটির আগে যে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা হয় তা কিভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক-শিক্ষিকা সমিতি ও আগামী দিনে কিভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে এক অনিশ্চয়তা, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতামত এক্ষেত্রে একেবারেই গুরুত্বহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল, কারণ ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছে সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের মন্ত্রী এত বড় দুর্নীতি তার অজানা ছিল তিনি এই দাবি করতে পারেন না বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও যুবনেতা শতরূপ ঘোষ পাটি কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে এই শিক্ষা দুর্নীতির চরম নিন্দা করেছেন, সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন যে আগামী দিনে রাজ্যে ব্যাপক স্তরে আন্দোলন সংগঠিত হবে।
একদিকে ওয়াকফ মামলায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অস্বস্তিতে বর্তমানে শিক্ষা দুর্নীতি ও বিভিন্ন দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত ফলে আগামী ২৬ শে নির্বাচনে পুরোপুরি বামফ্রন্ট বা সিপিআই এম ক্ষমতায় না আসলো তাদের ফলাফল যে ভালো হবে সে বলার অপেক্ষা রাখে না, তবে এই রায়ের ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল হাজার হাজার পরিবার ও মানুষের ভবিষ্যৎ যার দায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না অবিলম্বে সুস্থ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকদের নিযুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষা সংক্রান্ত অচলাবস্থাকে দূর করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সাজা দানের ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি করছে সাধারণ গণতান্ত্রিক নাগরিকবৃন্দ।