আন্তর্জাতিক 

বাণিজ্য যুদ্ধে ধীরে ধীরে কোনঠাসা হচ্ছে আমেরিকা!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বিশ্বজুড়ে নিজের আধিপত্যকে কায়েম করতে চলেছেন তাতেই বিপদ ঘনিয়ে এসেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আমেরিকার আধিপত্য কমাতে এবার টিট ফর ট্যাট নীতি নিলো চিন। সম্প্রতি চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। পালটা এবার মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক চাপাল বেজিং ও কানাডা। পাশাপাশি আমেরিকার উপর শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে মেক্সিকোও। সব মিলিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে নিঃশব্দে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’-এ নামল চিন, কানাডা ও মেক্সিকো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সাদা বাড়ির দখল নেওয়ার পরই মার্কিন নীতিতে বিরাট রদবদল এনেছেন। স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যে দেশ আমেরিকার উপর শুল্ক চাপায়, তাদের উপর পালটা শুল্ক চাপাবে আমেরিকাও এবং এই শুল্ক ৩৫ শতাংশ পর্যন্তও হতে পারে বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্প। সেইমতো কানাডা ও মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। পাশাপাশি ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয় চিনা পণ্যের উপর। মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নয়া শুল্ক হার। আমেরিকার এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার দিনেই প্রত্যাঘাত দিতে দেখা গেল চিন ও কানাডাকে।

Advertisement

মার্কিন ১০ শতাংশ শুল্কের পালটা মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মার্কিন পণ্যের উপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর কথা বলা হয়েছে চিনের তরফে। আগামী ১০ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এই নয়া নীতি। যেখানে, মার্কিন পণ্য চিনে বিক্রি করতে গেলে খরচ করতে হবে বাড়তি অর্থ। তবে মার্কিন পণ্যের উপর চিনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে আমেরিকা থেকে আসা কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১০ শতাংশ ও অপরিশোধিত তেল, কৃষি সরঞ্জাম, বড় গাড়িতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এবার নতুন করে বেশ কিছু পণ্যে বাড়ানো হয়েছে শুল্ক। বেজিংয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, শূকরের মাংস সোয়াবিন-সহ বহু পণ্যে ১০ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপান হয়েছে মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা-সহ বহু সামগ্রীতে। অন্যদিকে, কানাডা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকার উপর। পিছয়ে নেই মেক্সিকো। তাদের তরফে বড়সড় শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

মেক্সিকো কানাডা এবং চীনের শুল্কের চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছে আমেরিকা। কারন আমেরিকার পণ্য এই সকল দেশ নাও কিনতে পারে তবে এই সকল দেশের পণ্য আমেরিকা কিনতে বাধ্য। কারণ তাদের দেশে এইসব জিনিসগুলো পাওয়া যায় না।।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ