তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে লাল ভাইয়ের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, গভীর শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
সেখ ইবাদুল ইসলাম : নদীয়ার কালীগঞ্জের বিধায়ক তথা ওই জেলার জনপ্রিয়তম মুসলিম মুখ তৃণমূল নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ ওরফে লাল ভাই। শনিবার রাতে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পলাশীর হাসপাতালে ভর্তি হন সেখানেই গভীর রাতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি এক পুত্র দুই কন্যা রেখে গেলেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেল এ টুইট করে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন।
https://x.com/MamataOfficial/status/1885917151338361184?t=PK2aEY-rJpmHxA6m0rRFZg&s=19
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাসির উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন তিনি তার সহকর্মী এবং একজন জনপ্রিয় নেতাকে হারিয়েছেন। জনগণের জন্য তিনি নিরবে কাজ করে গেছেন। মানুষের পাশে বিশ্বস্ত জননেতা হিসাবে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দল ও সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাসিরুদ্দিন সাহেবের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার বন্ধু বান্ধব দেরও সমবেদনা জানিয়েছেন।
নাসিরুদ্দিন ওরফে লাল ভাই নদীয়া জেলার রাজনীতিতে জনপ্রিয়তম ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হন নিরলস ভাবে দলের স্বার্থে তিনি কাজ করে গেছেন। শুধু কাজ করেছেন তা নয়। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত তিনি প্রহরী হিসাবে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্য হারালো একজন বলিষ্ঠ যোগ্য সংখ্যালঘু নেতাকে। একথা বলতে কোন দ্বিধা নেই লাল ভাইয়ের যে যোগ্যতা ছিল সেই যোগ্যতার মর্যাদা তৃণমূল কংগ্রেস তাকে দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাল ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করলেও বাস্তবে এই লাল ভাই বা নাসিরুদ্দিন সাহেব সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। যাইহোক নাসিরুদ্দিন সাহেবের মাগফেরাত আমরা কামনা করছি তার মৃত্যুতে বাংলার জনরব গভীর শোক প্রকাশ করছে। প্রায়ত ইদ্রিস আলীর পর নাসিরুদ্দিন সাহেব ছিলেন সংখ্যালঘু সমাজের শেষ মুখ অন্তত তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন, তারপরেও কোনদিন কোন সময় তার মধ্যে আত্ম অহংকার দানা বাঁধেনি। এটাই নাসির উদ্দিন সাহেবকে অন্যদের থেকে পৃথক করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের দাখিল করুক এই দোয়া আমরা করছি।
