ভারতবর্ষের ইতিহাস ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু…. এক স্মরণীয় তথা বিতর্কিত অধ্যায়…../ অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতবর্ষের ইতিহাস ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু…. এক স্মরণীয় তথা বিতর্কিত অধ্যায়……..
অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সহ শিক্ষক ইতিহাস
ব্রিলিয়ান্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মধুবনী বিহার
যদি আমাকে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় ফাঁসির মঞ্চে, / আমি কি রজ্জু থেকে ঝুলে পড়ার আগে / চিৎকার করে উঠবো: ‘শ্রেণীসাম্য ছাড়া / নিস্তার নেই নিরন্ন মানুষের!’”

-শহীদ কাদরী
সারা দেশজুড়ে বললে ভুল হবে, কিন্তু দেশের কোন কোনায় আজ সগৌরবে পালিত হচ্ছে বীর বঙ্গ সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্ম জয়ন্তী। মনে রাখতে হবে ইনি সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যিনি বিবেকানন্দের আদর্শে ভারতবর্ষকে দিতে চেয়েছিলেন এক নবরূপ, প্রথম জীবনে গান্ধীবাদের আদর্শে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে বুঝেছিলেন, যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অহিংস বা সত্যাগ্রহের মতবাদ ব্রিটিশ সরকারকে তার ক্ষমতা থেকে টলাতে পারবে না, ব্রিটিশ শক্তিকে অপসারণের জন্য প্রয়োজন সামরিক প্রশিক্ষণ ও গণ বিপ্লব যার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজীর প্রতি আজীবন সম্মান রেখেও পরিত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেসের সদস্যপদ, তার সদস্যপদ পরিত্যাগের পর সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী উত্তর দিয়েছিলেন… Subhash is my spoil child, কিন্তু এই সুভাষ চন্দ্র বসু ভারত বর্ষ কে দিতে চেয়েছিলেন এক নবরূপ, তার আকস্মিক অন্তর্ধান ভারতবর্ষের এক কলঙ্কময় অধ্যায় তিনি নিহত।
না পরিকল্পনা মাফিক তাকে ভারতীয় ইতিহাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বর্তমানেও ভারতীয় ইতিহাস সন্দিহান তবে এই কথা আজকের দিনে বলাই যায়, সুভাষচন্দ্র বোসের যে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল ভারতবর্ষে তিনি তা পাননি, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ যার নেতৃত্ব কে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন মাঝে মাঝে তীব্র মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, ১৯৪৭ এর পর ভারতের স্বাধীন সরকার সুভাষচন্দ্র বসুকে সেই মর্যাদা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি তাই আজকের দিনে বলা যেতেই পারে, বাঙালির তথা ভারতীয়র মনের মনিকোঠায় সুভাষচন্দ্র বসু বিরাজমান থাকলেও, বীর সুভাষচন্দ্র বসু ঘরে ফেরে নাই, সুভাষচন্দ্র বসুর ফেরা উচিত ছিল বীরের বেশেই, তাকে ফিরতে দেয়া হলো না নাকি তিনি ফিরলেন না তা ভারতবর্ষের এক অমীমাংসিত রহস্য।