কলকাতা 

অভিষেকের নাম করে এমএলএ হোস্টেলে বসে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তিন যুবক, তোলাবাজ কিভাবে পৌঁছালো এমএলএ হোস্টেলে, রহস্য কি?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরো প্রধান আনন্দ দত্তকে হুমকি এবং 5 লাখ টাকা দাবি করে তিন যুবক। আর এই ঘটনাটি ঘটনা হয় কলকাতায় অবস্থিত এমএলএ হোস্টেলে বসে। ওই এমএলএ হোস্টেল থেকেই ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার থানার পুলিশ। কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজি করা হয়েছে এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই তিনজন যুবক হলেন, জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তাসলিম।

এদিকে এমএলএ হোস্টেলে বসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তোলাবাজির টাকা তোলার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বিমানবাবু জানতে চেয়েছেন কার নির্দেশে এমএলএ হোস্টেলে ঘর পেয়েছিল ওই তিন যুবক। এমএলএ হোস্টেলের সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। স্পিকার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে এমএলএ হস্টেলের সুপার এর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি শেক্সপিয়ার থানার কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ধৃত তিন জন এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে ছিলেন, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে বুক করা ছিল। সে প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘এক জন বিজেপি বিধায়কের সুপারিশে ঘর দেওয়া হয়েছিল বলে আমাদের এমএলএ হস্টেলের অফিশিয়াল রেকর্ড থেকে জেনেছি। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল, তাঁর নাম-আধার কার্ড নম্বর সব রেকর্ড করা হয়েছে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এমএলএ হস্টেলে ঢুকে থাকে, তা হলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’’

নিখিল অবশ্য বৃহস্পতিবারই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হস্টেলের ঘর বুক করতে হয় বিধায়কের লেটারহেডে। আমি এ রকম কাউকে কোনও লেটারহেড দিইনি। হস্টেলের ঘর কী ভাবে বুক হল সেটা হস্টেল সুপার বলতে পারবেন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তৃণমূল তো নিজেই তোলাবাজি করে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ভুয়ো নথি দেখিয়ে আনন্দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয়েছিল। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো ফাঁদও পাতা হয়। বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেলে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এর পর এমএলএ হস্টেল থেকেই তিন জনকে পাকড়াও করে পুলিশ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ