কলকাতা 

প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন! চালু হচ্ছে সেমিস্টার প্রথা, প্রশ্নপত্র হবে কেন্দ্রীয়ভাবে!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনল রাজ্য সরকার। প্রাথমিকে চালু হচ্ছে সেমিস্টার প্রথা।এবার থেকে বছরে একবার নয়, একই ক্লাসে দু’বার করে হবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঘোষণা করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক গৌতম পাল জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হচ্ছে নতুন পদ্ধতি।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এ ব্যাপারে জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি করা হবে। আর সেই কারণেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা।

Advertisement

পর্ষদ এও জানিয়েছে, পাঠ্য়ক্রমে বদল আনা হবে। একটি শিক্ষাবর্ষকে দু’ভাগে ভাগ করে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর অবধি আর একটি ভাগ করা হয়েছে। গৌতম পাল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছেন।

জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপর ভর করে এনসিইআরটি একটি কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে। ২০০৯ রাইট টু এডুকেশন আইন মোতাবেক পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি আছে।

প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার। প্রাক প্রাথমিকে তা বলবত করা হবে না।

গোটা রাজ্যেই একটা পেপারে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিক করে দেবে পর্ষদ। মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। কারণ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই ক্রেডিট পয়েন্ট পেয়ে উপকৃত হবে পড়ুয়ারা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ