Mamata Banerjee: দলের চেয়ারপারসন আমি আমার কথাই শেষ কথা দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে বললেন মমতা! মমতা বাদে কর্মীদের অভাব অভিযোগের কথা শুনবেন ফিরহাদ, অরূপ ও দেবাশীষ!
বিশেষ প্রতিনিধি : তৃণমূলের ক্ষমতার কেন্দ্র একটাই দুটো নয় এ কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে। শুধু তাই নয় আমি দলের চেয়ারপারসন আমার কথাই শেষ কথা। আজ সোমবার বিধানসভায় দলের বিধায়কদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জোরেসোরে বললেন। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতার কেন্দ্র একটা দুটো নয়।
আমরা গতকাল লিখেছিলাম যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন। সব বিষয়ে তিনিই শেষ কথা বলবেন আজ বিধানসভার বৈঠকেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুটি কথা উল্লেখ করেছেন। একটা কথা হলো ক্ষমতার কেন্দ্র একটা অন্যটি হল এতদিন ধরে তৃণমূলে ছাত্র ও যুব সংগঠন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছিলেন। তিনি বললেন এবার ছাত্র যুব সংগঠনটি আমি সাজিয়ে দেব। এদিন রীতিমত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামীকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে দলনেত্রী বলেন,তোমাকে আর এদিক ওদিক যেতে হবে না। নিজের এলাকায় নজর দাও। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রসায়ন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ইত্যাদি নিয়ে কদিন আগে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন নারায়ণ।
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে একটা ঝাঁকুনি দিতে চাইছিলেন। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর পরই সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে আরজি কর কাণ্ড প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
সম্প্রতি উপনির্বাচনের ফলাফলে আরজি কর পর্ব আড়াল হয়ে যাওয়ার পর ফের সেই ঝাঁকুনির প্রক্রিয়া দিদি শুরু করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিধানসভার নওসাদ আলি কক্ষে পরিষদীয় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাব্বিশের ভোট আসছে। মানুষের ঘরে ঘরে যান। অভাব-অভিযোগ, সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিন। আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হোন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন কথাবার্তা সংযত হয়ে বলবেন। যা ইচ্ছা যখন ইচ্ছা মিডিয়ার সামনে মুখ খুললে চলবে না। বেচাল দেখলে দল ব্যবস্থা নেবে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে এ জন্য একটু বকুনিও খেতে হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও বলেন, কারও কোনও অসুবিধা থাকলে তাঁরা যেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস বা দেবাশিস কুমারকে জানান। দিদির এ কথাও অনেকে অর্থবহ বলে মনে করছেন।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, কদিন আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাজকর্ম নিয়ে যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, এখন বোঝা যাচ্ছে। কল্যাণের সেদিনের কথা আর মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের মধ্যে কোথাও যেন একটা সুতো আছে।