নদীয়ার তাহেরপুরে অন্ধকার রাস্তায় হেডলাইট নিভিয়ে প্রতিবাদী মহিলাকে পিষে দিল ভ্যান গাড়ি,গ্রেফতার চালক
নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকায় এক মহিলাকে পিষে দিয়ে চলে গেল মালবাহী গাড়ি। রবিবার রাতের এই ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী সুজন বিশ্বাস প্রতি দিনের মতোই দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাইক চালিয়ে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক ধরে কৃষ্ণনগরের দিক থেকে তাহেরপুরের দিকে আসছিলেন। রাস্তায় বাইক দাঁড় করানো নিয়ে ওই ওষুধের দোকানদারের সঙ্গে এক ইঞ্জিন ভ্যানচালকের বচসা হয়। দু’পক্ষই আরও কয়েক জনকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে অবশ্য ঝামেলা মিটেও যায়। অভিযোগ, ইঞ্জিনভ্যানের চালক ফোন করে একটি পিকআপ ভ্যানকে ডেকে আনেন। বচসা থামার পরে সেই পিকআপ ভ্যান হঠাৎ গতি বাড়িয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর স্ত্রী তন্দ্রা বিশ্বাস (৩২)কে পিষে দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতেই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত মহিলার স্বামী। রানাঘাটের এসডিপিও শৈলজা দাস বলেন, “পিকআপ ভ্যানের চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সুজনের কথায়, “আমরা ভেবেছিলাম সমস্যা মিটে গিয়েছে। কয়েক মিনিট পরেই দেখা যায়, ফের ওই ভ্যানটি সামনের হেডলাইট নিভিয়ে কৃষ্ণনগরের দিকে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসছে। সেই সময় বেশ কয়েক জন স্থানীয় মানুষও ছিলেন ঘটনাস্থলে। কয়েকটি বাইক রাখা ছিল। গাড়িটি ভিড় লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। আমার স্ত্রী-সহ আরও দু’জনকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় সবাই ছিটকে পড়েন। স্ত্রীকে পিষে দেয় গাড়িটি। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।”
সূত্র: ডিজিটাল আনন্দবাজার।