জেলা 

মানবউন্নয়ন মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলা ‌

শেয়ার করুন

অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান এর উদ্যোগে গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার আমতা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির রসপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলিকাতা গ্ৰামে ভারতমাতা সংঘ -র ব্যবস্থাপনায় মানব উন্নয়ন মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলা অনুষ্ঠিত হল। শারদোৎসব এর প্রাক্কালে প্রবল বর্ষণে ও ডি ভি সি -র ছাড়া জলে আমতা ১, আমতা ২, উদয়নারায়ণপুর ব্লকের বিস্তির্ণ অঞ্চলের গ্ৰামগুলি প্লাবিত হয়। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ১০০০ (এক হাজার) মানুষকে মানব কল্যাণ মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলায় শাড়ি,কাপড়,ধুতি,জামা- প্যান্ট,টি শার্ট, বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য ভারতমাতা সংঘ গ্ৰামীণ সমাজসেবা মূলক উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান প্রসঙ্গে জানা যায়, অবধূত দেবীদাস এর গুরু হলেন অবধূত কজোড় দাস। অবধূত দেবীদাস দাস তার গুরুদেবের কাছে দীক্ষা নেওয়ার পর তিনি তার গুরুদেবের আর্শীবাদ প্রাপ্ত হন। গুরুদেবের অনুমতি নিয়ে ১২ বৎসর ধ্যান ও সাধনা করেন এবং সিদ্ধিলাভ করেন। যখন অবধূত দেবীদাস এর আত্মজ্ঞান হয়, তখন তিনি মানব কল্যাণের জন্য সারা ভারতবর্ষ ভ্রমণ করতে থাকেন।এক সময় ভারতবর্ষের রাজস্থান রাজ্যের আলোয়ারা জেলার বহাদূরপুর গ্ৰামে এসে পৌঁছান। অবধূত দেবীদাস সংস্থান মানব সেবা দলের সেবক শুভঙ্কর মন্ডল বলেন, ” অবধূত দেবীদাস সংস্থান এর মূল কর্ণধার আই পি এস লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা ১৯৭০ সালের ১০ জুন বাহাদূরপুর গ্ৰামে জম্মগ্ৰহণ করেন। তাঁর পিতার নাম স্বর্গীয় মাঁগেলাল মিনা,মাতার নাম ঝুমা দেবী। তাঁর জম্মের মাত্র ৮ দিনের মাথায় তাঁর পিতা পরলোকগমন করেন। শৈশবে তিনি তাঁর দাদু শ্রী মোহনলাল পটেলের নিকট লালিত পালিত হন।

তাঁর যখন ৬ বৎসর বয়স তখন তাঁর দাদু পরলোক গমন করেন। তাঁর মাতাই তাকে পঠন – পাঠন করান। শৈশবেই ঐ গ্ৰামে অবধূত দেবীদাস এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।১৯৯৫ সালে ৩ রা মার্চ অবধূত দেবীদাস বিধিপূর্বক তাকে দীক্ষা প্রদান করেন।দেবীদাস এর কৃপায় তিনি আধ্যাত্মের পরম অবস্থা প্রাপ্ত হন। লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা তার গুরুদেব অবধূত দেবীদাস এর দেখানো পথে পথ চলা শুরু করেন।১৯৯৮ সালে ইউ পি এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন। বতর্মানে লক্ষ্মীনারায়ণ মীনা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে আই পি এস পদে কর্মরত আছেন।চাকরীকরা কালীন তিনি শতাধিক আধ্যাত্মিক গ্ৰন্থ লিখেছেন এবং তা সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন।বিশ্ব প্রসিদ্ধ মানবধর্ম শাস্ত্র তাঁর দ্বারাই কৃত।রামচরিত মানসের যৌগিক ব্যাখ্যা ও বিশ্বে প্রথম তাঁর দ্বারাই কৃত “।

Advertisement

অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান আজকের এই মানব কল্যাণ মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলায় উপস্থিত ছিলেন অবধূত দেবীদাস সংস্থান মানব সেবা দলের সেবক শুভঙ্কর মন্ডল,জয়ন্ত পল্ল্যে, গুরুদাস সাধুখাঁ, পিনাকীরঞ্জন দাস, রাজেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ, সুপ্রভাত নেবু,সমরেন্দ্র দলুই,দীবেন্দ্রূ নেবু প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই মানব কল্যাণ মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলায় অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান এর পক্ষ থেকে সংস্থান সম্পর্কে আলোচনা, ধর্ম শাস্ত্র পাঠ, বাউল সংগীত পরিবেশিত হয়। আলোচনা সভায় অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান মানব সেবা দলের কর্তব্য প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রতিবেশীর সঙ্গে মধুর সম্বন্ধ বজায় – যদি কিছু ভুল হয়ে যায় তাহলে মনে মনে ক্ষমা প্রার্থনা করা। অপরের নিন্দা করবে না। যদি ভুল বশত নিন্দা হয়ে যায় তাহলে গুরুদেবের থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা। দিনে অন্তত পক্ষে একজন ব্যক্তির প্রশংসা করা। নিজের থেকে যত অসহায় ব্যক্তিকে যথাসম্ভব সহায়তা।

নিত্য মানব ধর্ম শাস্ত্র পঠন এবং শ্রবণ করা। ভারতমাতা সংঘ – র ব্যবস্থাপনায় মানব সেবা কল্যাণ মূলক কাজে প্রীতি উপহার মেলায় সংঘ ময়দানে উৎসবের ঢল নামে। এই অনুষ্ঠান দেখতে ময়দান সংলগ্ন পি ডব্লু ডি বাঁধে মানুষের ভিড় ছিল প্রশংসনীয়। এই মানব সেবা মূলক উন্নয়ন কাজে প্রীতি উপহার মেলায় উপহার প্রাপকেরা অবধূত দেবীদাস সেবা সংস্থান ও কলিকাতা ভারতমাতা সংঘ – র কতৃপক্ষের প্রশংসা করেন। সমগ্ৰ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুদাম চোংদার।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ