ন বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন জয়নগরে! থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে জনতা!
বিশেষ প্রতিনিধি : কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে জয়নগরে। দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর থানায় এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। গতকাল শুক্রবার ওই শিশুটি কোচিং শেষ করে বাজারে বাবার সঙ্গে দেখা করে একাই নাকি বাড়ি ফিরছিল। পথে তাকে অপহরণ করা হয় এবং ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ শুক্রবার রাতেই বাড়ির কাছাকাছি এক পুকুর থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এবং শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে রেখেছে।
মৃত শিশুটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তার পরিবার জানিয়েছে, প্রতি দিনের মতো শুক্রবারও সে মহিষমারিহাট এলাকায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল। কাছেই বাজারে ছিল তার বাবার দোকান। টিউশন শেষে দোকানে বাবার সঙ্গে দেখাও করেছিল শিশুটি। তার পর একাই বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু পথে তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে।
শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ‘‘আমার সঙ্গেই দুপুরে মেয়ে পড়তে গিয়েছিল। ৫টার সময় ছুটি হয়েছিল। বাজারে আমার দোকানে এসে বলেও গেল, ‘বাবা আমি বাড়ি যাচ্ছি।’ ও রোজ একাই বাড়ি ফিরত। কিন্তু আমার মেয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। বাড়ি থেকে খবর পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কোথাও পাইনি। পরে পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পুকুরের মধ্যে আমার মেয়ের দেহ খুঁজে পেয়েছে। ওইটুকু বাচ্চাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। যে করেছে, তাকে আমরা চিনি। পাশের পাড়ায় থাকে সে। দোষীর যেন ফাঁসি হয়, আমরা সেটাই চাই।’’
শুক্রবারই মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় জয়নগর থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যুবক সাইকেলে করে শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই যুবককে রাতেই আটক করেছে পুলিশ। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
।