দেশ 

রাহুল গান্ধীর চাপের কাছেই নতি স্বীকার আরএসএসের! জাত গণনার পক্ষেই সাওয়াল সংঘের!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : রাহুল গান্ধীর কাছে কি শেষ পর্যন্ত হেরে গেল আর এস এস। কেন বলছি একথা? কয়েক মাস আগে পর্যন্ত আরএসএস মনে করতো জাতভিত্তিক জনগণনা করা হলে তা দেশের পক্ষে বিপদজনক। আরএসএসের মতে, ‘‘জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও গভীর করবে।’’ এই মানসিকতা গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আর এস এস এর মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর উদ্যাত আহবানে নরেন্দ্র মোদী পিছিয়ে আসতে শুরু করেন সব বিষয় থেকে। রাহুল গান্ধীকে নকল করার প্রয়োজন অনুভব করতে থাকেন নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে আরএসএস পর্যন্ত।

কেরলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আরএসএস এর চিন্তণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জাত গণনার যে বিতর্ক রাহুল গান্ধী তুলে ধরেছেন তার বিরোধিতা করা হবে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মুখপাত্র সুনীল অম্বেডকর বলেন, ‘‘জাতগণনা মানুষের উন্নয়নের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন। তবে এটি ভোট-রাজনীতির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।’’

Advertisement

এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উদ্দেশ্যে সুনীলের বার্তা— ‘‘সরকারের উচিত তথ্য জানার উদ্দেশ্যে জাতগণনা করা। তবে জাতপাতের প্রতিক্রিয়া আমাদের সমাজে একটি সংবেদনশীল বিষয়। জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।’’ প্রসঙ্গত, বিহারে জাতগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন অক্টোবরের গোড়ায় মোদী পরোক্ষে জাতগণনার উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘‘দেশে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা চলছে।’’

গত ডিসেম্বরে আরএসএস সরাসরি জাতগণনার বিরোধিতা করেছিল। সঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘জাতগণনা দেশে সামাজিক বৈষম্য আরও গভীর করবে।’’ এমনকি, গত অগস্টেও আরএসএসের মুখপত্রে লেখা হয়েছিল, ‘‘জাতপাতই গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে।’’ সেই সঙ্গে লেখা হয়, ‘‘জাতপাতের ব্যবস্থা ভারতীয় সমাজকে পেশা ও প্রথা অনুযায়ী ভাগ করেছে। এই শৃঙ্খলা ভারতের বিভিন্ন শ্রেণিকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।’’ তবে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সে সময়, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, তাঁরা তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসি সংরক্ষণের বিরোধী নন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ