সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার ! নাগরিক সমাজের আন্দোলনের তীব্রতা কমবে? নাকি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে? কোন পথে বাংলা?
সেখ ইবাদুল ইসলাম : সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলো সিবিআই। যদিও সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেস এ নিয়ে যাওয়ার সময় বাংলার জনরব ধরে নিয়েছিল যে সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ যেভাবে সন্দীপ ঘোষ কে সিবিআই রিজাম প্যালেস এ নিয়ে তাতে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি সিবিআই এর জালে পড়ে গেছেন। নিজাম প্যালে সে নিয়ে যাওয়ার পর সিবিআই এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিন্তু এই গ্রেফতারি পেছনে কি আর জি কর মেডিকেল কলেজে অভ্যন্তরে বক্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের কোন সংযোগ আছে কিনা তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এটা স্পষ্ট হয়েছে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সিবিআই অনেক বেশি সজাগ ছিল এবং সতর্ক ছিল। ফলে ১৬ দিন ধরে জেরা করার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন এই মুহূর্তে গ্রেফতারি করার ফলে সন্দীপ ঘোষ সাধারণত এখুনি জামিন পাবেন না।
এখন প্রশ্ন উঠেছে সন্দীপ ঘোষের এই গ্রেফতারি পর আন্দোলনের তীব্রতা কি কমে যাবে? নাকি আরো বৃদ্ধি পাবে? আজ সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকরা যেভাবে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন এবং লালবাজার সংলগ্ন বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে বসে পড়েছেন তা এক কথায় নজিরবিহীন আন্দোলন বলা যেতে পারে! জানা গেছে সন্দীপের গ্রেফতারির খবরে আন্দোলনকারীরা খুশি হলেও এবার তারা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন তীব্র করেছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ হয়ে গেলে হয়তো দেখা যাবে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতেও তারা রাস্তায় নামবেন। ফলে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রে দেশে ছাত্র আন্দোলন যদি অরাজকতার জন্ম দেয় তাহলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকবে। এখন দেখার বিষয় জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কিভাবে সামাল দেয় মমতার প্রশাসন।