আরজি করের তদন্তে নেমে সংস্থার নামে বিভ্রান্তিতে ভুল ঠিকানায় সিবিআই! তারপর …..?
বিশেষ প্রতিনিধি : দুটো ব্যবসায়িক সংস্থার নাম তারা মা। একটার নাম তারা মা ট্রেডার্স আর অন্যটি হলো তারামা বিল্ডার্স। আরজিকর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে নেমে এই দুই সংস্থার নামের বিভ্রান্তিতে ভুল করে পৌঁছে যায় অন্য ঠিকানায় সিবিআই। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকে সিবিআই আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন আধিকারিক এবং এই সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করেছে সেই সংস্থার কর্তাদের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করে থাকে তারা মা ট্রেডার্স নামে এক সংস্থা। যার মালিক বিপ্লব সিংহ অন্যদিকে তারামা বিল্ডার্সের মালিক মদন ঘড়ুই। তারা মা বিল্ডার্স মূলত প্রোমোটারই সংস্থা। সিবিআই রবিবার সকালে তারামা বিল্ডার্সের মালিকের বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং এক ঘন্টা ধরে নথিপত্র দেখতে থাকেন আধিকারিকরা। এরপরই ভুল বুঝতে পারেন সেখান থেকে চলে আসেন এবং তারামা বিল্ডার্সের মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার পেয়েই ময়দানে নেমেছে সিবিআই। রবিবার সকালে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ প্রায় ১৫টি জায়গায় হানা দেন আধিকারিকরা। একটি দল যায় হাওড়ায়। তাঁদের নজরে ছিলেন বিপ্লব সিংহ ও তাঁর সংস্থা মা তারা ট্রেডার্স। এই সংস্থা থেকেই নাকি হাসপাতালে সিরিঞ্জ, গ্লাভস-সহ বহু সামগ্রী আসত। কিন্তু হাওড়া পৌঁছে আধিকারিকরা হাজির হন মদন ঘড়ুইয়ের বাড়ি। তাঁর সংস্থার নাম মা তারা বিল্ডার্স। না বুঝেই সাতসকালে সিবিআই কড়া নাড়েন মদনের দরজা। কিছু না বুঝতে পারলেও তদন্তকারীদের সহযোগিতা করেন তিনি। ব্যবসার যাবতীয় নথি তুলে দেন সিবিআই আধিকারিকদের হাতে।
প্রায় ঘণ্টাখানেক সেই নথি দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। তার পর বুঝতে পারেন অভিযোগের সঙ্গে নথির কোনও সামঞ্জস্য নেই। এর পরই তদন্তকারীরা মদনের বাড়ি ছাড়েন। জানা গিয়েছে, মা তারা বিল্ডার্স ও ট্রেডার্স নিয়েই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন আধিকারিকরা। যার জেরে এই ঘটনা। এ বিষয়ে মদনবাবুর ছেলে জানান, অযথা এই হেনস্তার জন্য আধিকারিকরা ক্ষমা চেয়েছেন।