‘‘আমি দলে বিত্তবান লোক চাই না। বিবেকবান লোক চাই। কেন জানেন? : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশেষ প্রতিনিধি : একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির ইস্যুতে তিনি যে কড়া অবস্থা নিতে চলেছেন সে কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন। আজ তিনি বলেন গাড়িতে নয় প্রয়োজনে সাইকেলে এবং প্রয়োজন হলে হেঁটে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান যারা ভোট দেননি। তারা কেন ভোট দেননি তাদের কাছে যান তাদেরকে আমাদের দিকে নিয়ে আসুন। তিনি বলেন বাংলায় দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করবে। তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা করব। বাংলাই দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করবে।’’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘অন্যায় করলে আমি দলের কাউকে ছাড়ি না। গ্রেফতার করি। অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্য করবেন না। আমি পরিষ্কার বলছি, মা-বোনেদের সম্মান দেবেন।’’
মমতা তৃণমূলের সকল বিধায়ক, কাউন্সিলর, সাংসদ, নেতানেত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘যেন কারও বিরুদ্ধে দল কোনও অভিযোগ না পায়। অভিযোগ পেলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আমি চাই আপনারা গরিব থাকুন। তার মানে ঘরে যা আছে, সেটা খেয়ে বেঁচে থাকুন। লোভ করার দরকার নেই।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমি দলে বিত্তবান লোক চাই না। বিবেকবান লোক চাই। কেন জানেন? পয়সা আসে, চলে যায়। কিন্তু সেবার কোনও বিকল্প নেই।’’
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘‘আমরা দায়িত্বে আসার আগে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের জমানায় তা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমরা একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা লোকসভায় ৩৮ শতাংশ নির্বাচিত প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা আমাদের সম্পদ।’’
মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচনের একতরফা আচরণের পরেও লোকসভা নির্বাচনে, বিধানসভা উপনির্বাচনে মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন। এজেন্সির ধমকানির পরেও মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন।’’
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আন্দোলনে পারে না। আমার কাছে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি তৈরি আছে। কিন্তু আমি কিছু করতে গেলে আদালতে ছোটে তারা। কখনও বলছে ২৬ হাজারের চাকরি খাই, কখনও বলছে ৪২ হাজারের চাকরি খাই, কখনও বলছে ওবিসি উঠিয়ে দাও। উঠবে না। আমরা আইনি লড়াই করছি, করে যাব।’’