কলকাতা 

লোকসভা ভোটের জয়ের কৃতিত্ব মমতা আর অখিলেশের! একুশে জুলাই এর মঞ্চে দাবি অভিষেকের, রাহুল কেন বাদ? মোদিজীর সুবিধার্থেই কি রাহুলের নাম উচ্চারণ করলেন না অভিষেক?

শেয়ার করুন

 সেখ ইবাদুল ইসলাম : ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দেশজুড়ে বিরোধীদের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কার। মাত্র দুজনের একজন হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যজন হলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। আজ একুশে জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠিত শহীদ দিবসের এই কথাগুলো বলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের এই কথাগুলোর মধ্য দিয়ে তিনি আসলে রাহুল গান্ধীর গুরুত্বকে জাতীয় রাজনীতিতে কমাতে চেয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। আর রাহুল গান্ধীর গুরুত্ব জাতীয় রাজনীতিতে কমে গেলে তাতে যে মোদিজীর সুবিধে হবে তার বলার অপেক্ষায় রাখেনা। তাঁর কথায় স্পষ্ট রাহুল নয় অখিলেশ সবচেয়ে বড় লোকসভায় জয়ের কৃতিত্ব রাখে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই রাহুল গান্ধী জাতীয় নেতা অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের নেতা আগামী দিনে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আর যদি অখিলেশ কোন দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হন সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া তিনি হতে পারবেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আজকের এই বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট হয়ে ধরা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস আসলে জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধী।

শহীদ দিবস উপলক্ষে ১৯৯৩ সালের শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে বার্তা দিলেন ২০২৪ শে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তারা খুশি। এই জয় তাদেরকে আরো বেশি কাজ করার প্রেরণা যোগাবে। এই জয়ের তৃণমূল কর্মীরা আরো বেশি আত্মবিশ্বাস পাবে।

Advertisement

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন,  ‘‘যা কথা দিয়েছি, সব পালন করব, আপনারা কথা দিচ্ছেন তো?’’ জনগণকে প্রশ্ন অভিষেকের। বললেন, ২০২৬ সালের ভোটে ২০২১ এবং ২০২৪ সালের ভোটের ফলকে পেরিয়ে যেতে হবে।’’

তিনি এদিন মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন মোদি সরকার আমার স্ত্রী কন্যা পুত্রদেরকেও হেনস্থা করেছে তারপরেও জয় বাংলা স্লোগান আমাদের মুখ থেকে বন্ধ করতে পারেনি। তাঁর ভাষায়,বিজেপি আমাকে হেনস্থা করেছে, আমার বয়স্ক বাবা-মা, আমার স্ত্রী, আমার শিশু পুত্রকে হেনস্থা করেছে। কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু আমি বলেছি গলা কেটে দিলেও জয়বাংলা বেরোবে।

প্রায় দেড় মাস রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে ছুটি নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন,এই এক-দেড়মাস আপনারা আমাকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখেননি। তার কারণ, আমি পর্যালোচনা করছিলাম। সেই পর্যালোচনার ফল আপনারা তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। দলীয় কর্মীদের অভিষেক বললেন, কে কী কাজ করেছে তা আমি পর্যালোচনা করেছি। ভোটে কার ভূমিকা কেমন ছিল, তার পর্যালোচনা শেষ। এ বার পদক্ষেপ করা হবে।

লোকসভা ভোটের ফলাফলে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেন মমতা ব্যানার্জি এবং অখিলের যাদবকে। দেশজুড়ে অপ্রত্যাশিতভাবে কংগ্রেসের উত্থানকে তেমনভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আসলে কংগ্রেসকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রকৃতপক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মোদিজীর হাতকে এই শক্ত করছেন তা নিয়ে আর কোন সন্দেহ নেই।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ