Facebook Harassment: ফেসবুকের অহেতুক হেনস্তায় বিরক্ত নাগরিক সমাজ!
সেখ ইবাদুল ইসলাম : যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক সমগ্র বিশ্বজুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় এর মধ্য দিয়ে অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাজের কাছে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে এটাও ঠিক ফেসবুকে ইদানিং যেভাবে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে এবং অশ্লীল কিছু কথাবার্তা পোস্ট করা হচ্ছে তা এক কথায় মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি উদাসীন রয়েছে। অথচ কিছু পোস্ট রয়েছে সমাজ দেশ এবং জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেই সব পোস্টগুলোকে অধিকাংশ সময় কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করা হচ্ছে এই অজুহাতে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলা ভালো জানেন কিনা আমার জানা নেই কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভালো ভালো কনটেন্টকে তারা সরিয়ে দিচ্ছে। যেমন কয়েকদিন আগে বাংলার জনরব শিক্ষামূলক একটি পোস্টে অংক করার সিস্টেমকে মজা করে লিখেছিল। শিরোনাম ছিল কনসেপ্ট ক্লিয়ার করো, মজা পাবে লেখাপড়ায় আনন্দ পাবে। বাংলা শব্দে এর মাঝে কোথাও কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করা হয়নি। তা সত্ত্বেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোন অধিকারের কোন নিয়মে এই ধরনের পোস্ট কে সরিয়ে দিল। আর এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন এমন একটা নোটিশ পাঠাচ্ছেন যেন মনে হচ্ছে যিনি এই পোস্টটি করেছেন তিনি গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছেন।
গত ৬ই জুলাই আমরা একটা পোস্ট করেছিলাম সেই পোস্টে কলকাতার একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমাজকর্মীর মৃত্যু সংবাদ ছিল। সেটাও কমিউনিটি গাইডলাইন বলে ফেসবুক সরিয়ে দেয়। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে এটা কিভাবে কমিউনিটি গাইডলাইন কে অমান্য করল? অথচ অশ্লীল ভিডিও এবং গালাগালি মারপিটের ছবি সহ ভিডিও প্রকাশ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেখানে কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করা হয়নি! আসলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে সবজান্তা মানসিকতা নিয়ে চলছেন। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে জনমতকে সংগঠিত করতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কথায় কথায় বলে থাকেন যে আমরা মানুষের মুক্ত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি এই মুক্ত স্বাধীনতার নাম শিক্ষামূলক পোস্টকে সরিয়ে দিচ্ছে! আর মিথ্যাচার করে বলছে কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করা হয়েছে। বাহ facebook বাহ!