অভিষেকের অফিসের পাশ দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল পাশাপাশি হাঁটলেন শুভেন্দু কৌস্তভ
ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অফিসের কাছ দিয়ে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল হল নির্বিঘ্নেই। আদালত অনুমতি দিয়েছিল মিছিল করার। সেই মিছিল যখন বুধবার দুপুরে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস এলাকা পেরোল, তখন স্লোগানের স্বর চড়া থাকলেও তার বেশি কিছু হয়নি।
ঘটনাচক্রে, মিছিলের একেবারে সামনে পাশাপাশি হাঁটলেন দুই মেরুর দুই রাজনীতিক— বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী। তবে কৌস্তভ ইদানীং কংগ্রেসের অন্দরে কোণঠাসা। শোনা যাচ্ছে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও দিতে পারেন।
‘অরাজনৈতিক’ এবং রাজনৈতিক দলের ঝান্ডাবিহীন মিছিল হলেও শুভেন্দু-কৌস্তভের পাশাপাশি হাঁটা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন ফ্রেম তৈরি করল। চাকরির দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পাশাপাশি হাঁটলেন এনডিএ (বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট) ও ‘ইন্ডিয়া’ (বিজেপি বিরোধী জোট)-র দুই নেতা। চাকরিপ্রার্থীদের গায়ে স্লোগান লেখা অ্যাপ্রনেও হ্যাশ ট্যাগ ‘ইন্ডিয়া’ লেখা দেখা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ‘ইন্ডিয়া’র কানেও তাঁদের যন্ত্রণার কথা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক তৃণমূল। তার সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য বাংলার শাসকদলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে বুধবারের মিছিল এড়িয়ে গিয়েছেন বামনেতৃত্ব। বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সিপিএমের তরফে সমন্বয় রাখেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। মূলত সেই কারণেই ‘পুরস্কার’ হিসাবে তাঁকে কয়েক মাস আগে রাজ্য কমিটিতেও জায়গা দিয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বুধবার তাঁকেও মিছিলে দেখা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজের কারণে যেতে পারিনি।’’ বিজেপির শুভেন্দুর পাশে হাঁটবেন না বলেই কি যাননি? এই প্রশ্নে খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করেই তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু গিয়েছেন নাকি? জানি না তো!’’ শুভেন্দু অবশ্য মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, ‘‘কাল (বুধবার) ক্যামাক স্ট্রিটে দেখা হবে।’’ সে কথা গোটা রাজ্যই জানত।