জেলা 

মান সম্মান নষ্ট করে দল করা সম্ভব নয় বেসুরে আরেক তৃণমূল বিধায়ক

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রেস গিয়ে পড়লো মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে। খোদ তৃণমূল বিধায়ক নিজেই দল ছাড়ার হুমকি দিলেন। এতদিন মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত স্তরের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা দল ছাড়ছিলেন। পঞ্চায়েত স্তরে যেসব নেতা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের যোগ দিচ্ছিলেন তারা অধিকাংশই জনপ্রিয় এবং দুর্নীতির বিরোধী। জনমানষে এদের প্রভাব রয়েছে। এবার দল ছাড়া আর হুমকি দিলেন জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় তম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী ইতিমধ্যেই হুংকার দিয়েছেন আর এর সঙ্গে যোগ দিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ফলে মুসলিম ভোটের উপরে যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

জানা গেছে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা নিয়ে জেলার সাংগঠনিক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের দ্বন্দ্ব। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী বিধায়ক সাওনি সিংহ রায়ের নির্দেশ মতো যে কমিটি ঘোষণা হয়েছিল সেই কমিটিকে বাতিল করে জলঙ্গীর বিধায়ক নতুন কমিটির ঘোষণা করে। আর আজ রবিবার বিধায়কের ঘোষিত কমিটিকে বাতিল করে দেন দলের সভানেত্রী। এরপরেই জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক ফুসে উঠেন।জল্পনা উস্কে তাঁর উক্তি, মান-সম্মান নষ্ট করে আর দল করা সম্ভব নয়! পাল্টা মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া কমিটি তৈরি করা যায় না।

Advertisement

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে অনুমোদিত হয়ে আসা কমিটি আগেই ঘোষণা করেছিলেন শাওনি। যা নিয়ে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। রাজ্জাক প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, তাঁকে না জানিয়েই অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে, তাঁরা কিছু দিন আগে পর্যন্তও বিরোধী দলে ছিলেন বা নির্দল ছিলেন। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই এটা করা হয়েছে।’’ এর পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন করে জলঙ্গি ব্লকের দক্ষিণ জ়োনের পাঁচ অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা করেন রাজ্জাক। রবিবার সেই কমিটি খারিজ করে দেন শাওনি। জানান, অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা করার এক্তিয়ার নেই বিধায়কের! পুরনো কমিটিই বহাল থাকবে।

তার প্রেক্ষিতে রাজ্জাকের পাল্টা দাবি, তিনি যা করেছেন, তা জেলা সভানেত্রীর অনুমতি নিয়েই করেছিলেন। এর পরেই বিধায়ক বলেন, ‘‘মান-সম্মান নষ্ট করে তেল দিয়ে আর দল করা সম্ভব নয়। জলঙ্গিতে তৃণমূল দলটা শেষ হয়ে গেল! শাওনি’দির অনুমতি নিয়েই সব করেছিলাম। উনি এখন কেন পাল্টি খাচ্ছেন, বলতে পারব না।’’

রাজ্জাকের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে জেলা সভানেত্রী বলেন, ‘‘দলের অঞ্চল সভাপতি ঘোষণার একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা আছে। কিছু দিন আগেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশিকা মেনে অঞ্চল সভাপতি ঘোষিত হয়েছে। নতুন করে কেউ কমিটি ঘোষণা করে দিলে তা বৈধ হয়ে যায় না। আমি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলব।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ