জেলা 

তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি জীবনের নয়

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রত্যাশা মত গ্রেফতার হলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। ৫০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই এর আধিকারিকরা কাটানোর পর সোমবার ভোর চারটে নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের এই নেতাকে। এর মাঝেই অনেক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহা, দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন। যার ফলে দুইদিন ধরে পুকুরের জল তোলার কাজ করে সিবিআই তারপর উদ্ধার হয় একটি মোবাইল ফোন কিন্তু সেটাও জীবন কৃষ্ণের নিজের নয় সেটা তার স্ত্রীর।

আরেকটি মোবাইল ফোন এখনো পাওয়া যায়নি শেষ পর্যন্ত সিবিআই তৃণমূলের এই বিধায়ককে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement

রবিবার রাতেই জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছন অতিরিক্ত আরও ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। গ্রেফতারি যে এ বার হতে চলেছে, তখনই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়।

রাত ১টা নাগাদ দেখা যায়, জীবনের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও যুক্ত করা হল। গ্রেফতারির প্রস্তুতি শুরু করলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এর পর রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি। জওয়ানদের উপস্থিতিতে মধ্যরাতে জীবনের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো হয়।

রাত ৩টে নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই বিধায়কের পরিবারের সদস্য অর্থাৎ মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের হাতে অ্যারেস্ট মেমো তুলে দেয় সিবিআই। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেই মেমোতে স্বাক্ষর করেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। বাইরে তত ক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে।

ভোর ৫টা ১৮ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। মোট ৬টি গাড়ির কনভয় তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ