কলকাতা 

ইংরেজির শিক্ষককে ইংরেজিতে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি,শিক্ষক বলেছিলেন, প্লিজ বাংলায় বলুন, শুক্রবার আদালতে ক্ষমা চাইতে এলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টের সার্ধ শতবর্ষ হলে প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীদের যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সেই সব পরীক্ষকদের সঙ্গে পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে শুনানিতে বসেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ২০১৬ টেট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষক হিসাবে ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন হুগলি জেলার এক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছিল একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন। প্রথমেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের কাজকর্মের নিয়ম অনুসারে ইংরেজি ভাষায় আদালতের কাজকর্ম হয় তাই দোভাষী রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন।

শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন পরীক্ষক। এদের মধ্যে অধিকাংশই দোভাষীর সাহায্যে বিচারপতির সঙ্গে কথোপকথন চালাচ্ছিলেন। কিন্তু হুগলি জেলা জেলার এক উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক এই ধরনের কোন ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করেন নি। অন্যান্য পরীক্ষকদের শুনানিতে ডাকার পর, একটা সময় ডাক পড়ে হুগলির একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ওই ইংরেজির শিক্ষকের। যে হেতু আদালতে প্রধানত ইংরেজিতেই কথোপকথন হয়, ওই শিক্ষককেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ইংরেজিতেই প্রশ্ন করেন। কিন্তু ওই শিক্ষক কিছুই বুঝতে পারেননি। শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। কোনও উত্তরও দিতে পারেননি। উল্টে বিচারপতির কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘বাংলায় প্রশ্ন করুন।’’ ইংরেজির শিক্ষকের এমন কথা শুনে কার্যত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বাংলায় প্রশ্নও করেন। কিন্তু বিরক্ত স্বরে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘ইংরেজির শিক্ষক হয়ে ইংরেজি না জানলে ছাত্রদের কী ভাবে পড়াবেন? এটা তো আশা করা যায় না!’’

Advertisement

সে দিনের ঘটনার পর শুক্রবার বিচারপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে এসে আবার ভর্ৎসনার শিকার হলেন হুগলির ওই শিক্ষক। তক্ষুনি বেরিয়ে না গেলে তাঁকে আর্দালি দিয়ে গ্রেফতার করাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুনেই আদালত ত্যাগ করলেন ইংরেজির শিক্ষক।

শুক্রবার সকাল সকাল আবার আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই ইংরেজির শিক্ষক। আদালত শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অপেক্ষা করছিলেন। পরে শুনানি শুরু হলে আইনজীবী মারফত বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে দেখামাত্রই রেগে যান বিচারপতি। হুঁশিয়ারি দেন গ্রেফতারির। শুনেই তড়িঘড়ি আদালত ছাড়েন ওই শিক্ষক।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ