দেশ 

তিস্তা এমন কোন অপরাধ করেননি যে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন গুজরাট হাইকোর্টকে, জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে কি ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতের প্রখ্যাত সমাজকর্মী ও গুজরাট গণহত্যা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অন্যতম সেনানি তিস্তা শীতলাবাদকে দুমাস ধরে জেল হেফাজতে রাখা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলে দিল। সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন তিস্তা শীতলাবাদ এমন কোন অপরাধ করেননি, যে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না। রীতিমত গুজরাট হাইকোর্টকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তেসরা আগস্ট নোটিশ জারি করার পর ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা শুনানির দিন ধার্য করা কি গুজরাট হাইকোর্টের আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি এটা আদর্শ প্রথা?

এদিন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত গুজরাট হাই কোর্টের ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তিনি বলেন, ‘‘৩ অগস্ট নোটিস জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে। জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে কি ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়?’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল শুক্রবার বেলা দুটোর সময় হবে। এবার দেখার বিষয় সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি তিস্তা শীতলাবাদকে জামিন দেয় কিনা!

Advertisement

এক জন মহিলা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে আছেন এবং এখনও পর্যন্ত মামলার চার্জশিট জমা পড়েনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি একজন মহিলা। হাই কোর্ট কী ভাবে ছ’সপ্তাহের মধ্যে ফেরতযোগ্য নোটিস জারি করল? এটা কি গুজরাত হাই কোর্টের আদর্শ প্রথা? আমাদের একটি উদাহরণ দিন, যেখানে এক জন মহিলা এই ধরনের কোনও মামলায় জড়িত এবং তাঁকে হাই কোর্ট এ রকম নোটিস জারি করেছে।’’

২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে মামলা দায়ের করার জন্য ভুয়ো নথি ব্যবহারের অভিযোগে গত ২৫ জুন থেকে জেলে আছেন তিস্তা। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই মামলায় ইউএপিএর মতো কোনও জটিল ব্যাপার নেই যেখানে জামিন দেওয়া কঠিন।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বৃহস্পতিবারের শুনানি মুলতুবি চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্ত যুক্তি হাই কোর্টের শোনা উচিত, সুপ্রিম কোর্টের নয়। এটাই আমার আপত্তির মূল জায়গা।’’ তিস্তার তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আমি এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করছি। এখানে এফআইআর হতে পারে না। আমার মক্কেল কী কী নথি জাল করেছেন, তা এফআইআরে কোথাও লেখা নেই।’’

বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গুজরাত দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। জাকিয়া জাফরি সিটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট সিটের রায়ই বহাল রাখে। ঠিক তার পরের দিনই মুম্বই থেকে তিস্তাকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ