দেশ 

মুসলিম পরিবারের মেয়ে বয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত হলেই নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারে সেক্ষেত্রে পকসো আইন প্রযোজ্য নয় জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মেয়ে মুসলিম পরিবারের হলে বয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম আইন মেনে বিয়ে করতে পারে, জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে  মা বাবার অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে পারে। সেক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের কমও হয়, তাহলেও অপরাধ বলে গ্রাহ্য করা হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার পরে তার স্বামীর বিরুদ্ধে পকসো আইন কার্যকরী হবে না।

দিল্লির এক মুসলিম দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, গত ১১ মার্চ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন দুই তরুণ তরুণী। তার পরেই ওই তরুণীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে বলা হয়, তাঁদের মেয়ের বয়স ১৫ বছর। তরুণীর স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সঙ্গে পকসো আইনের ভিত্তিতেও অভিযোগ আনা হয় ২৫ বছর বয়সি ওই যুবকের বিরুদ্ধে।

এপ্রিল মাসে আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই দম্পতি। ওই তরুণী জানায়, বাড়িতে তাকে মারধর করা হত। অন্য ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মা বাবা। তাই স্বেচ্ছায় নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি। আদালতে ওই তরুণীর আধার কার্ডও পেশ করা হয়। সেখানে অবশ্য দেখা যায়, ওই তরুণীর বয়স ১৯ বছর। আরও জানা যায়, ওই তরুণী অন্ত্বঃসত্ত্বা।

সমস্ত ঘটনা শুনে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে,” ইসলামিক আইন (Islamic Law) অনুযায়ী, বয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত মেয়েরা স্বেচ্ছায় বিয়ে করতে পারবে। যদি মা বাবার আপত্তি থাকে, তাহলেও বিয়ে করতে কোনও বাধা নেই ওই মেয়েটির। নাবালিকা হওয়া সত্বেও স্বামীর সঙ্গে থাকতে বাধা দেওয়া যাবে না।” সংশ্লিষ্ট মামলা প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, মামলাকারীরা একে অপরকে ভালবেসে ইসলাম আইন মেনে বিয়ে করেছে। তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ