দেশ 

বিলকিস বানুর ধর্ষণকারীদের শাস্তি মুকুব করেছে গুজরাট সরকার, আদালত নয় বললেন এই মামলার বিচারপতি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানু গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে সমালোচনা চলছে। এক মহিলার গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে যাবজ্জীবন সাজা খাটার বদলে যেভাবে ওই ১১ জনকে গুজরাট সরকার মুক্তি দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা টাই স্বাভাবিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজরাটের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নাগরিকরা। এই অবস্থায় অনেক সাধারণ নাগরিক না জেনে বুঝে বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করতেও শুরু করেছে এ ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর।

প্রসঙ্গত, এগারোজন দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিলেন তিনি। মৃদুলা বলেছেন, অপরাধীদের সাজা মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। তাতে আদালতের কোনও ভূমিকা নেই।

Advertisement

২০০২ সালে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এর আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই তাদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। ধর্ষকদের মালা পরিয়ে মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিলকিস বানো স্বয়ং বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। সাধারণ মানুষও আদালতকে দায়ী করতে থাকেন।

এহেন পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। তিনি বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন মানুষ বিচারব্যবস্থাকে দোষারোপ করছে। আমি সকলকে জানাতে চাই, মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য বিচারপতিরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন।” সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “অকারণ সমালোচনা শুনতে আমাদেরও খারাপ লাগে। নিজেদের সপক্ষে বলার মতোও কিছু থাকে না।”

প্রসঙ্গত, ধর্ষকদের সঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী এবং ডাক্তারদেরও যেন শাস্তি দেওয়া হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ভাটকর।

অন্যদিকে, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সেই পিটিশনে সই করেছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। পিটিশনে বলা হয়েছে, “এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রত্যেক ধর্ষিতার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত। আইনের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ধর্ষকরাও এহেন ঘৃণ্য কাজ করতে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে উঠবে।” মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে শ্রমিক, পিটিশনে সই করেছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ।

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ