জেলা 

মুর্শিদাবাদ নদিয়ায় প্রবল কালবৈশাখীর গ্রাসে মারা গেল চার জন, ব্যাপক ফসলের ক্ষতি

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রচণ্ড গরমে বাংলার মানুষ যখন হাঁসফাঁস করছে ঠিক তখনই স্বস্তির বৃষ্টি এসে হাজির হলো মুর্শিদাবাদ মালদায়। তবে সেই স্বস্তির বৃষ্টি স্বস্তি তো দিলই না বরং ভয়ঙ্কর ক্ষতি নিয়ে হাজির হয়েছে। মুর্শিদাবাদে বাজ পড়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে অন্যদিকে নদীয়া জেলাতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার মৃতদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে। নাম জাকির হোসেন (৩৮) ও তাঁর ভাগ্নে সারিকুল ইসলাম (১১)। এদিন ফতেপুর এলাকার মাঠে কাজ করছিলেন দু’জন। দুপুর বেলায় হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত শুরু হয়। ভয়ে মাঠের লোকজন ছুটে পালিয়ে যান বাড়িতে। এর পর বাড়ি ফিরে ওই মামা- ভাগ্নের খোঁজ না পাওয়ায় মাঠে গিয়ে এলাকার মানুষ দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁরা।

Advertisement

একই সময়ে লালগোলা থানার পাইক পাড়া এলাকায় বজ্রঘাতে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের নাম বাপি ঘোষ (৩০)। তিনি রাজা রামপুরের বাসিন্দা। মাঠে কাজ করার সময়ই বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বছরের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নদিয়া জেলার করিমপুর এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকায় রয়েছে করিমপুর ১ ব্লক এলাকায় শিকারপুর, যমশেরপুর ও করিমপুর ১ ও ২ গ্রাম। কলা, পান, পেঁপে এবং ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার একাধিক এলাকা বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎহীন ছিল।

বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রথমে জনজীবন স্বাভাবিক করাই আমাদের আপাতত মূল লক্ষ্য। যতক্ষণ না এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চালু থাকবে।

মুরুটিয়া থানার ফুলখালি গ্রামে শতাধিক বছরের পুরনো গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণ চন্দ্র হালদার(৭০) নামে এক বৃদ্ধের। আহত বেশ কয়েকজন। মৃতের স্ত্রী রেখা রানি হালদার বলেন, “গাছ ভেঙে পড়ার সময় আমি বুঝতে পারলেও স্বামী বুঝতে পারেননি। ঝড়-বৃষ্টির সময় পাকা রাস্তার উলটোদিক থেকে একটি পুরনো বড় গাছ ভেঙে পড়ে ঘরের উপর। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় স্বামীর। আমি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি।”

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ