জেলা 

ছবি আঁকা এবং নিজেদের সেই ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার এক অনুপম আদর্শ ফুটিয়ে তুলল পাবদাড়া হাই মাদ্রাসা

শেয়ার করুন

নায়ীমুল হকের প্রতিবেদন: দীর্ঘ দু’বছর ভয়ানক এক অনিশ্চয়তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষার মানচিত্র। বিভিন্নভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের দোদুল্যমানতা কাটিয়ে পড়াশোনায় মন বসাতে নানারকম উপায়-উপকরণের কথা ভাবছেন শিক্ষক সমাজ। সেই কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামে পাবদাড়া হেফজুল উলুম এস এইচ হাই মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষক থেকে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা তথা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুধু নিজেদের মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নয় বরং আশপাশের বিভিন্ন স্কুল এবং গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে প্রত্যেককে। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক জীবনের নানান খুঁটিনাটি বিষয়ে সহযোগিতার ও সহমর্মিতার কথা শেখাতে হবে হাতেনাতে। এভাবেই তারা একদিকে যেমন ভাল পড়ুয়া হবে সঙ্গে সঙ্গে ভালো মানুষ হিসেবে পরিগণিত হবে। সুদুরপ্রসারি এই লক্ষ্যে নানান পরিকল্পনায় সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আশপাশের অন্যান্য স্কুলের ছেলেদেরকেও সঙ্ঘবদ্ধ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার তাদেরকে নিয়ে এক অভিনব কর্মশালার আয়োজনে পাশে পেয়েছেন সকলকে। তিনি বলেন দীর্ঘ দু’বছরের যে বিচ্ছিন্নতা, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মশালার প্রথমার্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিগত দিনের আঁকা ছবিগুলি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করে। তারা তাদের নিজস্ব শিল্পকর্ম এইভাবে মাদ্রাসার হল ঘরের দেওয়ালে দেখে শিশুমন খুশিতে ভরে ওঠে।

Advertisement

এই আয়োজনে সকলকে একসঙ্গে করে নিয়ে কাজ করে চলেছেন মাদ্রাসার বিশিষ্ট শিক্ষক সাহাবুল ইসলাম গাজী। তিনি বলেন শিশুদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন যত দৃঢ় হয় ততই সামাজিক বন্ধন আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে ।

এদিন কর্মশালার দ্বিতীয়ার্ধে ছিল অংকন কর্মশালা। দারুন উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গত সপ্তাহের মতোই বিশিষ্ট শিক্ষক সুমন সরকারের তত্ত্বাবধানে যোগ দেয় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ।

তারা একে অপরকে ছবি আঁকার প্রাথমিক উপকরণগুলি দেওয়া নেওয়া করে। তাদের মধ্যে এইভাবে পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়ে উঠুক বলে শিক্ষক সুমন সরকার অভিমত প্রকাশ করেন। কর্মশালার শেষে, তাদের মনের ভাব ছবি আঁকার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে বিনিময় করেন।

মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা সহ অভিভাবকরাও এই ধরনের কর্মশালার সার্বিক ভাবে সফলতা কামনা করেন। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৌদ্ধিক এবং নান্দনিক বিকাশের জন্য এই ধরনের কর্মশালা পরবর্তীতে মাদ্রাসায় আরো সম্পন্ন হবে ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ