কলকাতা 

Calcutta High Court : ‘তাঁর দেওয়া সব রায় ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিচ্ছে কেন?’ প্রশ্ন তুলে দেশের প্রধান বিচারপতির শরণাপন্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এসএসসি থেকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের মামলায় যে সমস্ত রায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন তার অধিকাংশ রায়কে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে । আর এ নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । কেন হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে স্থগিত হয়ে যাচ্ছে ? এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে । এর ফলে অনেক অনিয়ম চুপ চাপ মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা । কারণ একবার সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা গেলে তার খরচ বহন করা এই সব বেকার ছেলেমেয়েদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় ।

এদিকে সাধারণ মানুষের এই প্রশ্ন আবার নতুন করে বির্তকের সৃষ্টি করেছে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরাসরি এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন । তিনি প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন,কেন তাঁর দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ?  সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের কয়েকটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। কারণ, বিচারপতি মনে করেছিলেন, সেখানে বড় কোনও দুর্নীতি থাকতে পারে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই অনুসন্ধানের মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর পর শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ চেয়েছিল বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশেও ডিভিশন বেঞ্চে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে কার্যত ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

এর পর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেধে দিচ্ছে? মঙ্গলবার নির্দেশ জারি করে, গত মাস দুয়েক নিয়োগ দুর্নীতিতে তার দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের মামলার নথি এবং সেগুলিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘দেশ দেখুক, বিচার করুক, বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে! একই সঙ্গে এক আইনজীবী মন্তব্য ‘ কথা হয়ে গেছে, স্টে হয়ে যাবে ‘ এই বক্তব্যের রেকর্ডিং বের করা হোক ভার্চুয়াল শুনানির রেকর্ড থেকে। বিচার করা হোক গোটা বিষয়টি। একইসঙ্গে লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানান, তার কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী এসে এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। তার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেছি, আমাকে মাফ করবেন।
এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তার দেওয়া নির্দেশের পাল্টা সিল খাম খোলা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই বিতর্কেও বিস্ফোরণ বিচারপতি গাঙ্গুলীর।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ