বিনোদন, সংস্কৃতি ও সাহিত্য 

বাংলার জনরবের সাহিত্য আড্ডায় বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা দিবসের মূল্যায়ন

শেয়ার করুন

সংবাদদাতা, বাংলার জনরব: “মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে সামনে রেখে কোন দেশ তার স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে স্বাধীনতা অর্জন করে নজির সৃষ্টি করেছে বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশের ৫১ তম স্বাধীনতা দিবসে সমস্ত বাংলাদেশ বাসীকে জানাই হার্দিক অভিনন্দন। বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র নায়কের রাষ্ট্রসঙ্ঘে বাংলায় ভাষণ প্রদানের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণ করে বাঙালি হিসেবে আজ গর্ববোধ করছি।এক সমূদ্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার জন্য সেইসব বীর শহীদদের কুর্ণিশ জানাই।”- জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বাংলার জনরবের সাহিত্য বিভাগ আয়োজিত চলতি মাসের চতুর্থ শনিবার গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সাহিত্য আড্ডায় কথাগুলি বলেন পোর্টালের সম্মানীয় সম্পাদক সেখ ইবাদুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আন্তর্জালিক এদিনের সাহিত্য আড্ডায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ফারহানা শারমিন জেনী, ত্রিপুরার বিশিষ্ট লেখিকা সুস্মিতা দেবনাথ, অসমের সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ সমাজসেবক নূরুল ইসলাম লস্কর এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য লেখক গায়ক আবদুর রউফ।

Advertisement

পোর্টালের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক সাহিত্যিক সেখ আব্দুল মান্নান একটি কবিতায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্ভাষণ জানানোর পর সান্ধ্য সাহিত্য আড্ডার শুরুয়াত হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় ‘ এই পদ্মা এই মেঘনা‌ এই যমুনা সুরমা নদীতটে…’ গানের মাধ্যমে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে দরদি কন্ঠে তাৎপর্যপূর্ণ গানটি পরিবেশন করেন এদিনের আমন্ত্রিত সাহিত্যিক ও শিল্পী আবদুর রউফ। তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘বর্ণে ছন্দে গীতিতে হৃদয়ে দিয়েছ দোলা…’বহুশ্রুত গানটি পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেন।

“বাংলার জনরব নিউজ পোর্টাল হলেও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থে বাংলা সাহিত্যের ন্যুনতম সেবা করার উদ্দেশ্যেই বিগত কয়েক মাস যাবৎ দেশ বিদেশের বিভিন্ন গুণিজনদের নিয়ে ভার্চুয়ালি এ ধরণের সাহিত্য আড্ডা আয়োজন করে চলেছি। আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে উপযুক্ত পরামর্শ কামনা করি।” – সাহিত্য সম্পাদক সেখ আব্দুল মান্নানের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে অসমের সুলেখক সমাজসেবক নূরুল ইসলাম লস্কর বলেন সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনার তান্ডব এবং রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের বিভিষিকায় যখন সাহিত্য সংস্কৃতি ক্রমশঃ পশ্চাৎপদ তখন বাংলার জনরবের এ হেন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। একমাত্র সাহিত্য সংস্কৃতিই পারে অস্থির সমাজে সুস্থতার বাতাবরণ ফিরিয়ে আনতে। তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি মনস্ক মানুষদের আরও বেশি করে বাংলার জনরবের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে লস্কর সাহেব এদিন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাহিত্য প্রতিনিধি কবি অধ্যাপিকা ফারহানা শারমিন জেনীকে তাদের ৫১ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

ত্রিপুরার উদীয়মান লেখিকা সুস্মিতা ‌দেবনাথ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ‘শূন্যতা’ এবং ‘কাদম্বরীর একলা দুপুর’ শিরোনামে স্বরচিত দুটি শ্রুতিমধুর কবিতা পরিবেশন করেন। ‘কাদম্বরীর একলা দুপুর’ কবিতাটির ভেতর দিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

নির্বাচিত স্বরচিত সাহিত্যপাঠে এদিন আড্ডাকে মনোগ্রাহী করে তোলেন অতিথি কবি ফারহানা শারমিন জেনী, আবদুর রউফ এবং নূরুল ইসলাম লস্করও। ফারহানা শারমিন জেনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাঠ করেন ‘অর্জিত স্বাধীনতা’ ও ‘প্রকৃতির মূর্ছনা’ কবিতা দুটি। নূরুল ইসলাম লস্কর পাঠ করে শোনান মজার ছড়া ‘আমার কিচেনে কেউ ঢুকবে না’ এবং ২০০৭ সালে প্রকাশিত তাঁর গ্রন্থ ‘না বলা কথা’ থেকে প্রবন্ধ ‘ মসজিদ থেকে মাদ্রাসা’। আবদুর রউফ পাঠ করেন দুটি নান্দনিক কবিতা ‘কেটে গেল বেলা’ ও ‘অবেক্ষণ’।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ