কলকাতা 

CPIM : মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে কী রাজ্যে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ?

শেয়ার করুন

সেখ ইবাদুল ইসলাম: ইদানিং পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতি বা দলের সর্বোচ্চ পদে কোন মুসলিম ব্যক্তি বসেছেন কিনা তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সম্ভবত ১৯৮০ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসে ছিলেন এ বি এ গনি খান চৌধুরী। তারপর থেকেই এই রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষ দলের সর্বোচ্চ পদে কোন নামধারী মুসলমান কেও বসানো হয়নি। অবশ্য ধর্মনিরপেক্ষতার প্রচারক বলে নিজেদেরকে যারা দাবি করে সেই সিপিএম পার্টিও জেলা কমিটির সম্পাদক পদে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কোন মুসলমান নামধারী ব্যক্তিকে বসায়নি।

তবে বামফ্রন্ট সরকার তথা সিপিএম সরকার তার শাসনের শেষ পাঁচ বছর উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন এই রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের মূল্য কতটা! মাত্র পাঁচ বছরের (২০০৬- ১১) মধ্যে এই রাজ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়নে বামফ্রন্ট সরকার যে কাজ করেছিলেন সেই কাজ বিগত ২৯ বছরে তারা করতে পারেনি! এত করা সত্ত্বেও ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের সংখ্যালঘুরা দুহাত ভরে ভোট দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তারপর থেকেই যতদিন গেছে এই রাজ্যে তারা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও বামফ্রন্ট তথা সিপিএম হালে পানি পায়নি। তাদের ভোট কমতে কমতে একেবারে চার শতাংশে এসে ঠেকেছে।

Advertisement

স্বাধীনতার পর এই প্রথম পশ্চিমবাংলার বিধানসভায় বামেরা শুন্য, যা কল্পনাতীত। সিপিএমের একটাও জেতা প্রার্থী বিধানসভায় নেই এটা লজ্জার, ধর্মনিরপেক্ষতার লজ্জা বলা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আকস্মিক হলেও সত্য রাজ্য সম্পাদক পদে বসানো হলো মোহাম্মদ সেলিমকে। মোহাম্মদ সেলিম উচ্চশিক্ষিত জ্ঞানী বিদগ্ধ পন্ডিত এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তিনি যে কোনো বক্তব্য যেকোন সময় যেকোন ভাবে দিতে পারেন তার মধ্যে সেই পাণ্ডিত্য বিরাজ করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো মোহাম্মদ সেলিমের হাত ধরে কি এই রাজ্যের সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? মোহাম্মদ সেলিমের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই তিনি দীর্ঘদিন সিপিএম দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফাইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে প্রশ্ন একটাই মোহাম্মদ সেলিমের হাত ধরে কি সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে বিমান বসু সহ ১২ জন প্রবীণ সিপিএম নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

১৯৬৪ সালে সিপিএম দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রথম বিমান বসু রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়লেন। পার্টির নিয়ম মেনে ৭০ বছরের বেশি যাদের বয়স হয়েছে তাদেরকে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ