দেশ 

Goa Assembly Election 2022: তৃণমূলের প্রার্থী হয়েও নির্বাচনী যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ালেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো! নির্বাচনের আগেই কি গোয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে তৃণমূল?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মিডিয়ার প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস এমনভাব করছিল মনে হচ্ছিল যেন গোয়া জয় করে নেবে। কিন্তু কয়েক মাস যাওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেই বুঝতে পেরেছিল জয় তো দূরের কথা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করার মতো লোক পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস দলের শরণাপন্ন হয় তৃণমূল নেতারা। কিন্তু কংগ্রেস দল পাল্টা আঘাত হানে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় জোট সবার সঙ্গে হলেও তৃণমূলের সঙ্গে হবে না। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস গোয়াতে প্রার্থী দিয়ে প্রেস্টিজ রক্ষার জন্য লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গোয়া জিতে নেব এরকম শপথ নেওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো (Luizinho Faleiro) এই বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠান । যে বাংলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব শক্তির উৎস স্থল সেই বাংলায় কোন বাঙালিকে রাজ্যসভায় না পাঠিয়ে একজন গোয়াবাস কে রাজ্যসভায় পাঠানো হল শুধুমাত্র গোয়াতে রাজনৈতিক লাভের আশায়। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য কংগ্রেসের সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এবার গোয়া বিধানসভার প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস আজ শুক্রবার সকালে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারবেন না।

Advertisement

দলীয় সিদ্ধান্তকে এভাবে অগ্রাহ্য করার দায়ে এবার কি তৃণমূল নেতৃত্ব ওই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বহিস্কার করতে পারবেন? এই প্রশ্নটা বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরছে।

আজ শুক্রবার সকালে পানাজিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর পাশে বসেই লুইজিনহো নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্গে ছিলেন নতুন প্রার্থী সিওলা ভাস। লুইজিনহোর এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে ধাক্কা।

চলতি মাসের ১৮ তারিখ গোয়ায় ভোটের স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একেবারে স্থানীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। টিকিট দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো এবং প্রাক্তন বিধায়ক চার্চিল আলেমাওকে। ঘোষণা করা হয় রাজ্য কমিটি, যুব, মহিলা, ব্লক সমস্ত স্তরের কমিটি।

লুইজিনহো এই মুহূর্তে তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনিই সে রাজ্যে প্রথম তৃণমূলের দিকে পা বাড়ান। তাই তাঁর উপর একের পর এক দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। ৪০ বিধানসভার গোয়ায় ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরিকল্পনা ছিল, বিধানসভা ভোটে লুইজিনহো জিতলে তাঁকে আবার রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এটা পরিষ্কার হয়ে গেল গোয়াতে তৃণমূল কংগ্রেস তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবেনা বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ