কলকাতা 

Omicron: রাজ্যে ৮১ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তই টিকার ডবল ডোজ নিয়েছেন !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে । দুটি ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছে, যদিও মৃত্যু হার এমনিতেই কম । তবে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাপিয়ে যাবে।তবে এর নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রন ।

স্বাস্থ্য ভবনের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৭। তবে এদিনই কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে নড়েচড়ে বসেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যত নমুনা পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে সিংহভাগ অর্থাৎ ৭১.৩ শতাংশেরই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তুলনায় ডেল্টা অর্থাৎ গত দু’টি ঝড়ে যে ভ্যারিয়েন্ট পশ্চিমবঙ্গ—সহ গোটা দেশকে টালমাটাল করেছিল, সেই ডেল্টা মাত্র ৩.৭ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গিয়েছে। উদ্বেগের আরও একটি কারণ রয়েছে। প্রায় ৬.৭ শতাংশ নমুনা করোনা পজিটিভ যেগুলির ভাইরাস ঠিক কোন ভ্যারিয়েন্টের তা ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় চিহ্নিত করা যায়নি। ফলে এমন চিহ্নিত না হওয়া করোনা একটা বড় দুর্ভাবনার জায়গা বলেই মনে করছেন মাইক্রো বায়োলজিস্টরা।

Advertisement

করোনার দু’টি ডোজকেও গুরুত্ব দেয় না ওমিক্রন। অর্থাৎ এই ভ্যারিয়েন্ট এতটাই মারমুখী এবং এত দ্রুত সংক্রমিত হয় যে ভ্যাকসিনের কাছেও হার মানে না। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া রয়েছে। আবার শিশুদের মধ্যে মোট আক্রান্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন পজিটিভ। পরীক্ষায় আরও জোর দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চারটি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ও চিকিৎসক রাখা হয়েছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ