কলকাতা 

Covid 19 Third Wave : বাংলার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক হতে পারে করোনা বিধি অমান্যকারীদের জন্য! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলার মানুষ নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় চতুর্থ ঢেউয়ের শিকার হয়েছে তরুণ-তরুণীরা। দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের গড় বয়স ৩৬ থেকে ৫৯!  দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ একটি হাসপাতালের তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়া থাকলে মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে যাচ্ছে। কতটা? এমনিতে চতুর্থ ঢেউয়ে মৃত্যু হার অত্যন্ত কম। ২০০ জন ভরতি হলে মারা যাচ্ছেন বড়জোর ৪ জন। কিন্তু সেই ২০০ জনের মধ্যে অর্ধেকেরও যদি টিকাকরণ হয়ে থাকে, মৃত্যু হচ্ছে মাত্র ১ জনের। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অঙ্ক কষে বের করেছেন চার ঢেউয়ের সময়কাল। ২০২০ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় বজায় ছিল প্রথম ঢেউ। নভেম্বর ২০২০ থেকে ২০২১ এর জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ। ২০২১-এর মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মারণ তৃতীয় ঢেউয়ের ডেল্টা। নভেম্বর ২০২১ থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ ঢেউ। দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ঢেউয়ের সঙ্গে অনেকেই বাংলার তৃতীয় ঢেউয়ের তুলনা টেনেছেন। সময়কাল যে একই।

শহরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই ঢেউকে ঠেকাতে গেলে টিকা নিতেই হবে। কোথাও এমনটা বলা নেই যে টিকা নিলে করোনা হবে না। কিন্তু টিকা নেওয়া থাকলে করোনার ব্যাপকতা অনেকটাই কমবে। টিকা আর বিধিনিষেধ একসঙ্গে মানলে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা পাবেন আমজনতা। এই মুহূর্তে দেশ তথা বাংলায় তৃতীয় ঢেউয়ের আগমন হতে আর কয়েকটা দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শিক্ষা নিতে পারে বাংলা।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, যে সমস্ত দেশে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়েছে, সেখানে একটা বিষয় স্পষ্ট। আনুসঙ্গিক অসুখ থাকলেও যে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হবেন, এমনটা ঠিক নয়। করোনাবিধি যাঁরা মানছেন না, বিপদটা তাঁদেরই। দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে মাত্র ৩১.৬ শতাংশের। যেখানে তৃতীয় ঢেউয়ে ৯১.২ শতাংশের ফুসফুসে সমস্যা ছিল। অর্থাৎ তৃতীয় ঢেউয়ে বাংলায় চরিত্র বদল করার পরেও ফুসফুসের আঘাত ততটা গুরুতর হবে না। কিন্তু এত কিছুর পরেও সাবধানে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা ওমিক্রনে (Omicron) অনেক কম। দক্ষিণ আফ্রিকার তত্ত্ব বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ে ৭৪ শতাংশ মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা দেখা গিয়েছিল। চতুর্থ ঢেউয়ে মাত্র ১৭.৬ শতাংশ মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজন পরছে। তৃতীয় ঢেউয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৯.৯ শতাংশকে আইসিইইউতে অ্যাডমিশন নিতে হয়েছিল। চতুর্থ ঢেউয়ে মাত্র ১৮.৫ শতাংশকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভরতি হতে হয়েছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ