দেশ 

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কি তামিলনাড়ুর লোকসভা আসন কমেছে ? প্রশ্ন মাদ্রাজ হাইকোর্টের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: তামিলনাড়ুর লোকসভার আসন সংখ্যা কেন দুটি কমে গেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কারণে তামিলনাডু রাজ্যের লোকসভা আসন যেখানে ৪১ টা ছিল সেখানে পরবর্তীকালে ৩৯টা করা হয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আজ মাদ্রাজ হাইকোর্ট বলেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার ফলে যদি লোকসভার আসন কমে যায় তা দুঃখজনক।

মাদ্রাজ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তামিলনাড়ু  অন্ধ্রপ্রদেশের মতো যেসব রাজ্য সঠিকভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে তারা আজ বঞ্চিত। ১৯৬২ সালে তামিলনাড়ুর লোকসভা আসন ছিল ৪১টি। তারপর রাজ্যে সঠিকভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি (Poppulation Control Policy) চালু হয়। এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি অন্য রাজ্যের তুলনায় কমে যায়। সেকারণে ১৯৬৭ সালের লোকসভার আগে সেরাজ্যের লোকসভার আসন সংখ্যা ৪১ থেকে কমিয়ে ৩৯ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

মাদ্রাজ হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সঠিকভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় এই দুই রাজ্যে দুটি করে লোকসভা আসন কমে গিয়েছে। অথচ, যে রাজ্যগুলি জনসংখ্যা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সেসব রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা বেশি। তারা কেন অনৈতিক সুবিধা পাবে? কেন অন্য রাজ্যগুলিকে সমসংখ্যক রাজ্যসভার আসন দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না?”

মাদ্রাজ হাই কোর্টের বক্তব্য, প্রতি বছর একজন সাংসদ রাজ্যের উন্নয়নের জন্য মোটামুটি ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রতি বছর তামিলনাড়ু ৪০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাদ্রাজ হাই কোর্ট বলছে, ১৯৬৭ সাল থেকে হিসাব করে কেন্দ্রের উচিত শুধু তামিলনাড়ুকেই ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া। শুধু তাই নয়, মাদ্রাজ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, কেন্দ্রের ভেবে দেখা উচিত সংবিধানের ৮১ নম্বর ধারা সংশোধন করা যায় কিনা। আদালত চাইছে, জনসংখ্যা কমা-বাড়ার হিসাব না করে, শুধু এলাকার আয়তনের ভিত্তিতে লোকসভা আসন নির্ধারণ করা।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের আজকের এই পর্যবেক্ষণ সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ