দেশ 

মমতার কায়দা্য় ত্রিপুরায় আন্দোলন অভিষেকের : গ্রেফতার কৃত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে থানার সামনে বসে থাকবেন হুঁশিয়ারি অভিষেকের , বিপাকে বিপ্লব

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মমতার কায়দায় রীতিমতো হুংকার দিলেন ত্রিপুরা পুলিশকে । আজ সকালে ত্রিপুরা পৌছান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বিমান বন্দর থেকে সোজা খোয়াই থানায় পৌছে যান । এখানেই পশ্চিমবাংলা থেকে আসা তিন যুবনেতা সহ ১১ জন তৃণমূলের নেতা-কর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে । অভিষেকের সঙ্গে আছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। খোয়াই থানায় গিয়েই অভিষেক আধিকারিকদের কাছে জানতে চান কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় তার নথি দেখতে চান অভিষেক। গ্রেফতার সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরা পুলিশ আসলে বিজেপি-র দালালি করছেন বলে অভিযোগ করেন দোলাও।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে আক্রান্ত হন তৃণমূলের তিন যুবনেতা । দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্ত । এদেরকে রবিবার ভোরে মহামারি আইনে গ্রেফতার করে খোয়াই থানা । এদের মুক্তির দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থান করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।

Advertisement

এদিকে, অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। সেই বিক্ষোভ ঠেলেই থানায় পৌঁছন অভিষেক। তৃণমূল নেতৃত্ব যেখানে থানার ভিতরে রয়েছে, বাইরে থেকে থানা ঘিরে ধরেছেন বিজেপি কর্মীরা। অভিষেকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।ভোররাত থেকে খোয়াই জেলে রয়েছেন কর্মীরা।

রবিবার সকালে আগরতলায় পৌছে যান অভিষেক । বিমান বন্দর  থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। বিপ্লব দেব ভাবছেন, তাঁর কাছ থেকে ভিসা নিয়ে তবেই রাজ্যে পা রাখতে পারবেন বিরোধীরা। যাঁরা বড় বড় ভাষণ দেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাঁদের হাতে ত্রিপুরার গণতন্ত্রের কী অবস্থা, রাজ্যবাসী তা দেখছেন। যাঁরা এঁদের চ্যালেঞ্জ করছে, তাঁদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।’’

 তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি এখানে মডেল সরকার চালাচ্ছে। গুজরাত মডেলের নতো এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে। সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা। গুন্ডামি করছে বিজেপি। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, সরাসরি যাঁরা চ্যালেঞ্জ করছেন, জেলে ঢোকানো হচ্ছে সকলকে। গণতন্ত্র বিপন্ন রাজ্যে। হামলাকারীদের না ধরে আক্রান্তদের ধরে ধরে জেলে পোরা হচ্ছে।’’

অভিষেকের অভিযোগ, ‘‘বিরোধীদের রাস্তায় নামা, কথা বলা, রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অধিকার নেই ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় ঢুকলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। হুমকি দিয়ে, মানুষকে ধমক দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতাদখল করে রাখতে চাইছে বিজেপি। তবে যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুক ওরা, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাব আমরা।’’

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ