করোনা বিধি মেনে না চলায় জরিমানা হলো প্রধানমন্ত্রীর! নজির গড়ল এই দেশ
বাংলার জনরব ডেস্ক: করোনা প্রতিশোধক হিসাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বারবার বলা হচ্ছে কিন্তু কে শুনে কার কথা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা হতো আমাদের দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখে মাক্স না লাগিয়ে নির্বাচনী সভায় যোগ দিচ্ছেন। অনেক দেশ আবার মাক্স পরা বাধ্যতামূলক করেছে মাক্স না পড়লে জরিমানার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু আমাদের দেশে এ সবের বালায় নেই ।মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
হাতে সব কিছুর পরেও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এগুলো তো মানছি না উপরন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ও তা মেনে চলা প্রয়োজন মনে করছেন না। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। কিন্তু নরওয়ে অন্য পথ দেখাচ্ছে কার্যকরী করার জন্য কোভিদ কার্যকরী করার জন্য তারা আরো কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকেও বাদ দেয়া হচ্ছে না। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী করোনা বিধি মেনে না চলার কারণে তাকে ও জরিমানা করেছে সেদেশের প্রশাসন। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় চলছে। সেদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গকে (Erna Solberg) জরিমানা করা হয়েছে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে!
ঠিক কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে? গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের ৬০তম জন্মদিনে পরিবারের ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। অথচ সেদেশের কোভিড বিধিতে রয়েছে, ১০ জনের বেশি কোনও পার্টিতে থাকতে পারবেন না। সেই আইন ভাঙাতেই শেষমশ এই জরিমানা। আর সেই অঙ্ক মোটেই অল্প নয়। ২০ হাজার নরউইজিয়ান ক্রাউন বা ২ হাজার ৩৫২ মার্কিন ডলার! আগের মাসেই ওই পার্টির আয়োজনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এরনা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। জরিমানার মুখেই পড়তে হল তাঁকে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ কর্তা ওলে সেভারুদ একথা জানিয়েছেন।
আসলে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চেয়েছে পুলিশ। সেকথা জানিয়েছেন, স্বয়ং সেভারুদ। তাঁর কথায়, ”আইন সকলের জন্যই সমান। তবুও আইনের সামনে সবকিছু সব সময় সমান থাকে না। সেই জন্য সামাজিক বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে সাধারণ জনতার বিশ্বাস অটুট রাখতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা দরকার।”