আন্তর্জাতিক 

‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবেন না’: শেখ হাসিনা

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম-শতবর্ষ চলছে এই বছর । তাই সারা বছর ধরে বাংলাদেশের জাতির পিতা মুজিব স্মরণে অনুষ্ঠান হচ্ছে । এই প্রেক্ষাপটে মুজিবর রহমানের স্মরণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই দেশের প্রায় ৭০ হাজার গরীব মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ।  শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারগুলিকে বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৪৯২টি উপজেলার মানুষ।

বাংলাদেশের একলক্ষ গৃহহীন  পরিবারকে বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । শনিবার তাদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৯০৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর-সহ বাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একদিনে এত মানুষকে ঘর দিতে পারলাম, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহারা থাকবেন না। যাঁদের গৃহ নেই তাঁদের ঘর করে দিয়ে অসাধ্য সাধন করতে পারলাম, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারে না।’

Advertisement
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আজকে আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করতে পারা বড় আনন্দের। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এই গৃহদান কার্যক্রম তাঁরই শুরু করা। কিছুদিনের মধ্যে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। পৃথিবীতে কোনও দেশের সরকার এত অল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বসবাসের জন্য ঘর দিতে পারেনি। যা আওয়ামি লিগ সরকার পেরেছে। যাঁরা ঘর পেয়েছেন, তাঁদের ঘরের সামনে একটি করে ফলের গাছ লাগানোর অনুরোধ করব।’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহহীনদের জন্য দুটি ঘরবিশিষ্ট প্রতিটি বাড়ি তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে বাড়িগুলি। থাকছে বারান্দা, রান্নাঘর ও অ্যাটাচ বাথরুমও। এছাড়া টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎসংযোগও দেওয়া হচ্ছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ