বেড়াতে গিয়ে আটকে গেছেন , দ্রুত বাংলায় ফেরার আশায় নবান্নের দ্বারস্থ , অধীর চৌধুরি-র হস্তক্ষেপে উত্তরাখন্ড প্রশাসনের নজরে ২৭ বাঙালি পর্যটক
যে ২৭ জন আটকে পড়েছেন উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের হার্টের সমস্যা রয়েছে। শিশুও রয়েছে বেশ কয়েকটি। চৌকোরির ঠান্ডার মধ্যে আরও সপ্তাহ তিনেক আটকে থাকতে হলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে গোটা দলটাই। পর্ণিনী বললেন, ‘‘এখানে সে ভাবে দোকান-বাজারই নেই। লকডাউনের ফলে জিনিসপত্রের সাপ্লাই-ও কম। ওষুধের দরকার হলে তিন কিলোমিটার নীচে নামতে হচ্ছে। আবার উঠে আসতে হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তা ধরে। ডাক্তার নেই। কেউ অসুস্থ হলে কী করব, কারও জানা নেই।’’
স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য যোগাযোগ করেছে আটকে পড়া বাঙালি পর্যটকদের সঙ্গে। পিথোরাগড়ের এসডিএম মঙ্গলবারই চৌকোরির রিসর্টে গিয়ে কথা বলে এসেছেন। কারও কোনও সমস্যা হবে না, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিস তাঁরা পাবেন, ওষুধের সরবরাহও অক্ষুণ্ণ থাকবে— এমন আশ্বাস দিয়ে এসেছেন ওই সরকারি কর্তা। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই যেন কেউ চৌকোরি ছাড়ার চেষ্টা না করেন— সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতেই কাতর আর্তি নবান্নের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন পর্ণিনীরা। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘এসডিএম যতই আশ্বাস দিন, আমাদের পক্ষে এত দিনের জন্য এই পরিবেশে আটকে পড়া কতটা কঠিন, সেটা সবার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাই আমরা চাইছি, কোনও ভাবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবরটা পৌঁছক। তিনি যে ভাবে হোক আমাদের বাংলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।’’
লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও উদ্যোগী হয়েছে উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া এই বাঙালি পর্যটকদের সুরাহা করতে। চৌকোরিতে ২৭ জন বাঙালি পর্যটক আটকে রয়েছেন জেনেই অধীর চৌধুীরর অফিস থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁদের সমস্যার কথা পিথোরাগড়ের জেলাশাসকের দফতরকেও জানানো হয়। জানানো হয় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের দফতরকেও। ওই পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব জেলাশাসকের দফতর নিচ্ছে বলে অধীর চৌধুরীর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের বাংলায় ফেরানোর ব্যবস্থা যাতে করা যায়, তার জন্যও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অনুরোধ পৌঁছেছে লোকসভার বিরোধী দলনেতার তরফ থেকে।