দেশে সুপার এমারজেন্সি চলছে দাবি মমতার , পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন দাবি বিজেপির
বাংলার জনরব ডেস্ক : ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে ইন্দিরা গান্ধী সরকার জারি করেছিল জরুরি অবস্থা । তা নিয়ে গতকাল সকাল থেকেই সরব ছিল বিজেপি । কংগ্রেস দল ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ সমানে চালিয়ে যাচ্ছিল অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদী সকলেই । এমনকি সংসদে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখারও সময় এ প্রসঙ্গ কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া এল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে । তিনি এদিন সকালে টুইটে লেখেন , ‘‘১৯৭৫ সালে আজকের দিনে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে দেশে সুপার–ইমার্জেন্সি চলছে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করতে হবে।’’
মোদীর বিরুদ্ধে আগেও এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর পাল্টা বিজেপির প্রকাশ জাভড়েকর আজ সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে সেটাও জরুরি অবস্থা থেকে কিছু কম নয়।’’ পরিবেশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাভড়েকর আঙুল তোলেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট–পরবর্তী হিংসার দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে ওখানে। আমরা ১৯৭৫–এর জরুরি অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গেও লড়ব।’’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে কেউ কেউ জরুরি অবস্থা বলছেন, এটা শুনে ধাক্কা খেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন জাভড়েকর। দাবি করেন, ‘‘এখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে। বিপ্লব ঘটে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও কেবল টিভির ক্ষেত্রে। বর্তমান সময়কে যাঁরা জরুরি অবস্থা বলছেন, তাঁরা সেই সময় কংগ্রেসে ছিলেন। ফের যাতে স্বাধীনতা খোয়া না–যায় সে জন্যই জরুরি অবস্থার কথা সব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরি।’’ সন্দেহ নেই জরুরি অবস্থা নিয়ে নিজেদের ভাষ্য তুলে ধরতেই আজ সকালে টুইট করে, পরে লোকসভায় কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদী। টুইট করেছেন ও বিবৃতি দিয়েছেন শাহ ও জে পি নড্ডার মতো নেতারা।