দেশ 

“যারা মানুষকে পিটিয়ে মারে অথবা নিগ্রহ করে, ধর্ম-জাত-লিঙ্গ-ভাষা-অঞ্চলের ভিত্তিতে বৈষম্য করে তাদের খারিজ করুন” লোকসভা নির্বাচনে সাধারন মানুষের কাছে আবেদন দেশের ১৫০ বিজ্ঞানীর

শেয়ার করুন
  • 26
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কয়েক দিন আগে ১০৩ জন চলচিত্র জগতের  মানুষ এবং ২৩১ জন দেশের প্রথম সারির লেখক ও বুদ্ধিজীবী দেশের মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য । আর আজ বৃহস্পতিবার দেশের ১৫০ জন বিজ্ঞানী এক বিবৃতিতে একই বার্তা দিল দেশবাসীকে । তাঁরা বলেছেন “যারা মানুষকে পিটিয়ে মারে, যারা মানুষকে নিগ্রহ করে, তাদের ভোট দেবেন না। অসাম্য, চোখরাঙানি, বৈষম্য, যুক্তিবিমুখতার বিরুদ্ধে ভোট দিন” – সাধারণ মানুষের এই আবেদন করেছেন অন্তত ১৫০ জন বিজ্ঞানী। প্রশ্ন উঠেছে এই বার্তা কার বিরুদ্ধে । দেশের মানুষকে কেন বারবার মেধাজীবীরা এই আবেদন করছেন । তাহলে কী বিজেপির দিন শেষ হয়ে এল ? ২০১৯-এ কী সত্যিই বিজেপি ফিনিস হবে ?

তা না হলে এক সপ্তাহ আগে ১০৩ জন চলচ্চিত্রনির্মাতা বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। গত সোমবার ২৩১ জন লেখক ‘ঘৃণার রাজনীতি’ পরিহার করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। এ বার এগিয়ে এলেন বিজ্ঞানীরা। কেন?

Advertisement

এই আবেদন করা হয়েছে শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, বিজ্ঞানী এবং আইনজীবীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান কালচারাল ফোরামের তরফে।

ইন্ডিয়ান কালচারাল ফোরামের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, “যারা মানুষকে পিটিয়ে মারে অথবা নিগ্রহ করে, ধর্ম-জাত-লিঙ্গ-ভাষা-অঞ্চলের ভিত্তিতে বৈষম্য করে তাদের খারিজ করুন। যারা এ ধরনের আচরণকে প্রশ্রয় দেয় তাদের বাতিল করুন…। যে পরিবেশে  বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী আর যুক্তিবাদীদের পিছনে লাগা হয়, তাদের হয়রান করা হয়, ভয় দেখানো হয়, তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না, তাদের জেলে পোরা হয়, এমনকি হত্যাও করা হয়, সেই পরিবেশ আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নয়…। যুক্তিবাদী, সাক্ষ্যপ্রমাণ-ভিত্তিক জনগণের আলোচনাকে হেয় করার ব্যাপারটা আমাদের রুখতেই হবে। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ, যুক্তি, পালটা যুক্তি ভালো ভাবে বিবেচনা করে, বিচক্ষণতার সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য আমরা সমস্ত নাগরিকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। বৈজ্ঞানিক মানসিকতার যে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা আমাদের রয়েছে তা স্মরণে রাখার জন্য সমস্ত নাগরিকের কাছে আমরা আবেদন করছি।” ওই আবেদনে সই করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর), দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই), অশোকা ইউনিভার্সিটি, দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (এনসিবিএস) এবং দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা।

এই আবেদনটির খসড়া করেছেন পুনে আইআইএসইআর-এর অ্যাডজাংক্ট প্রফেসর সত্যজিৎ রথ এবং নয়াদিল্লি আইএসআই-এর রাহুল রায়।


শেয়ার করুন
  • 26
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

17 − three =