মহারাষ্ট্রের পর এবার দিল্লিতে সেনার পরিচয়ে হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ!
বাংলার জনরব ডেস্ক : মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশ জুড়ে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কারণ এই ঘটনার সঙ্গে ওই এলাকার এক পুলিশ আধিকারিক এবং ভাড়াটিয়ার্স সন্তান জড়িয়ে রয়েছে। এই মামলার ড্রেস কাটতে না কাটতেই আবার দিল্লিতে হাসপাতালের ভিতরে ভর্তি তো হলেন আরেক চিকিৎসক। সেনার পরিচয়ে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ জমিয়েছিল আরভ মালিক নামে এক যুবক। অনলাইন সংস্থার ডেলিভারি বয় আরভ ওই তরুণীর কাছে নিজেকে লেফটল্টেন্যান্ট হিসেবে পরিচয় দেন। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়তে থাকে তাঁদের। নম্বর আদানপ্রদান ও হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন চলত দু’জনের। চিকিৎসকের কাছে আরভ দাবি করেন তিনি কাশ্মীরে কর্মরত। সোশাল মিডিয়ায় নিজের দাবির সত্যতা প্রমাণে সেনার পোশাক পরা ছবিও পাঠান অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের শুরুতে আরভ চিকিৎসককে জানান তিনি ছুটি নিয়ে দিল্লি আসছেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিছুদিন পর অভিযুক্ত মসজিদ মোথ এলাকায় ওই চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। অভিযোগ, সেখানেই খাবারের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে চিকিৎসককে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত যুবক। গত ১৬ অক্টোবর আরভের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক। সেইমতো অভিযান চালিয়ে আরভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, এক দোকান থেকে সেনার পোশাক কিনেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেই ঘটনার মাঝেই এবার চিকিৎসক ধর্ষণের অভিযোগ দিল্লিতে।

