কলকাতা 

সুপ্রিম রায় মোতাবেক ২০১৬ – র বিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা নয়া বিধি কেন? জানতে চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ এর নিয়মে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন। তাহলে নিয়ম বদলানো হলো কেন? একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও কেন অযোগ্যদের নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে? মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রশ্নের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্যের শিক্ষা দফতর।বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্য এবং এসএসসিকে এই বিষয়ে বক্তব্য জানাতে হবে।

মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্য এবং এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন দাগিদের (নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের) অনুমতি দেওয়া হল? আপনাদের ৩০ মে-র বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও বলা নেই দাগি চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে না। আমার পর্যবেক্ষণে এটা ওই বিজ্ঞপ্তিতে না-থাকাটা গলদ।” তার পরেই এই বিষয়ে রাজ্য এবং এসএসসির অবস্থান জানতে চান বিচারপতি।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেইমতো গত ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ১৪ জুলাই। পরীক্ষা, স্ক্রুটিনি, ইন্টারভিউয়ের পর আগামী ১৫ নভেম্বর প্যানেল প্রকাশ করা হবে। সেই অনুযায়ী কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর থেকে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও দাগি (দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এমন) এবং দাগি নন (দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি) এমন চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করার কথা বলা হয়নি। তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিহারারা।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগের দিন গভীর রাতে নিয়োগের নয়া বিধি প্রকাশ করে এসএসসি। নয়া বিধিতে জোর দেওয়া হয় শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে। জানানো হয়, চাকরিপ্রার্থীদের ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে এটির জন্য ৩৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে নম্বর আগেও সর্বোচ্চ ১০ ছিল, তা-ই বহাল রাখা হয়। নয়া বিধিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এ ছাড়া ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’— দু’টিই নতুন সংযোজিত হয়েছে। এই দু’টি মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ