ইরান ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি হলে গাজায় নয় কেন ? প্রশ্ন ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোর
বাংলার জনরব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডাকে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। আপাতত ইরানে হামলা চালানো হবে না বলেই ট্রাম্পকে কথা দিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই আবহকে কাজে লাগিয়ে গাজায় হামলা বন্ধের দাবি তুলে নেতনিয়াহুর উপর চাপ তৈরি করছে ইসরাইলের বিরোধী দলগুলি।
ইহুদি রাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে লিকুড পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। যার সর্বশক্তিমান নেতা নেতনিয়াহু। অন্যদিকে অন্যতম দুই বিরোধী দল হল ইয়েস আতিদ এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। ইরানের সংঘর্ষবিরতিক স্বাগত জানিয়েছেন দুই দলের প্রধান নেতা। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সম্পূর্ণ শান্তি ফেরাতে গাজায় হামলা বন্ধ করার অনুরোধ করছেন তাঁরা। আতিদ দলের প্রধান লাপিদ বলেন, “আর কেন? এ বার গাজাতেও শেষ হোক। পণবন্দিদের ফিরিয়ে যুদ্ধ থামুক। বরং ইসরাইলের পুনর্গঠনে মন দেওয়া হোক।” এক্স হ্যান্ডেলে ইয়ের গোলান পোস্ট করেছেন, “অভিযান শেষ করার সময় এসেছে। সব পণবন্দিদের ফেরানো হোক। গাজায় যুদ্ধ থামুক।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরেও গাজায় ইসরাইলি সেনার গুলিতে কমপক্ষে ৩৮ জন প্যালেস্টাইনবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানে লাগাতার হামলা নিয়ে বারবার বিরোধী নেতৃত্বের সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, একেবারেই সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না তিনি। বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপর নজরদারি চালান। এমনকী তাঁদের উপর নিপীড়নের অভিযোগও রয়েছে শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে।
এদিকে মঙ্গলবার ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি বার্তার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, “সেনা অভিযানের লক্ষ্য অর্জন করায় এবং রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।” আরও বলা হয়, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে (ইসরাইলকে) সমর্থন এবং ইরানের পারমাণবিক হুমকির অবসান ঘটাতে সক্রিয় হওয়ায় ইসরাইল রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায়। ” এর কিছুক্ষণ পর ইসরাইল বিদেশমন্ত্রী দাবি করেন, ইরান সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে, পালটা হামলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেয় তেহরান।