আন্তর্জাতিক 

একটা দুটো নয়, চার-পাঁচটা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য কিন্তু ওরা দেবে না, দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : শান্তিতে নোবেল পাওয়ার জন্য নানা রকম ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার ব্যাপারে বিশেষ আশাবাদী নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘বন্ধু’ পাকিস্তান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম মনোনীত করলেও তাঁকে ওই সম্মান দেওয়া হবে না বলেই মনে করছেন তিনি। কটাক্ষের সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, “ওরা আমাকে নোবেল দেবে না। ওটা শুধু উদারবাদীদের দেওয়া হয়।”

এর আগে ২০২০ সালে একবার নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। সেবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল পাননি। ট্রাম্প মনে করছেন, যোগ্য হলেও এবারও তাঁকে বঞ্চিত করা হবে। ওই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে আক্ষেপের কথা শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলে গিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অন্তত চার-পাঁচটা নোবেল তাঁর ইতিমধ্যেই পাওয়া উচিত ছিল। তিনি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেছেন। কঙ্গো, রোয়ান্ডার মধ্যে শান্তি স্থাপন করেছেন। সার্বিয়া-কসোভোর যুদ্ধ থামিয়েছেন। মিশর-ইথিয়োপিয়ার মধ্যে শান্তি বজায় রেখেছেন।

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, “ওদের উচিত কঙ্গ ও রোয়ান্ডার ঝামেলা মেটানোর জন্য আমাকে নোবেল দেওয়া। কিংবা সার্বিয়া-কসোভোর সমস্যা মেটানো, এরকম অনেক কিছুর জন্যই আমার নোবেল পাওয়া উচিত।” ট্রাম্পের কথায়, “সবচেয়ে বড় যে যুদ্ধটা থামিয়েছি সেটা হল ভারত ও পাকিস্তানের। আমার মনে হয় আমার ৪-৫ বার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল।” এরপরই তাঁর আক্ষেপ, “কিন্তু ওরা আমাকে নোবেলটা দেবে না। ওটা ওরা শুধু উদারপন্থীদের দেয়।”

উল্লেখ্য, শনিবারই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম সুপারিশ করে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকারের তরফে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কৌশলী কূটনীতিতে ভারত ও পাকিস্তান, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সমঝোতায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর হস্তক্ষেপেই সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। তাই ২০২৬ সালের নোবেল পাওয়ার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার মার্কিন প্রেসিডেন্টেই।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ