ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলেও এখনই ইরানের উপর হামলা চালাতে নারাজ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র গুলির উপরে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অফিসাররা এ বিষয়ে এখনো সবুজ সংকেত দেয়নি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সুত্র ধরে জানা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আধিকারিকরা মনে করছেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেক কিছু ভাবতে হবে। কারণ এর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আফগানিস্তানে তালিবানদের হাতে পরাজিত হয়েছে সেটা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত বলে সেনা অধিনায়কদের অনেকেই মনে করছেন।
সংবাদ সংস্থা সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোরদোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোও হামলার লক্ষ্য হতে পারে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

সূত্রগুলো বলছে, এই বিষয় নিয়ে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা এ ব্যাপারে এখনো পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি।
এক সিনিয়র মার্কিন কূটনীতিক সম্প্রতি টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার বিষয়টি ‘বিবেচনায় রয়েছে’, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সিদ্ধান্তটা আমাদের নয়, হোয়াইট হাউস নেবে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করব না, অন্তত এখনই (হত্যা) নয়।’
আল–জাজিরার খবরে হয়েছে, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে ইরানকে ঘিরে কয়েকটি পোস্ট করেছেন। এর একটিতে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন,‘তিনি (খামেনি) সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে যে জায়গায় আছেন, নিরাপদ আছেন। আমরা তাঁকে ‘অপসারণ’ (হত্যা!) করব না। অন্তত এখনই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বা মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক।’ এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প যোগ করেন, ‘আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।’