দেশ 

৮ দিন আগে বর্ষা এলো দেশে! কেরলে বর্ষার প্রবেশ! বাংলায় কবে?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নির্ধারিত সময়ের আট দিন আগেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে গেল। আজ শনিবার কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে বলে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, গত ১৬ বছরে এত তাড়াতাড়ি দেশে বর্ষার আগমন হয়নি। ১৬ বছরের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণত কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে ১ জুন। সেটাই দেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষার আগমনের সময়। এ বছর তার চেয়ে আট দিন আগে বর্ষা প্রবেশ করল। শেষ বার এত আগে কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল ২০০৯ সালে। ১৬ বছর আগের কথা।

২০২৪ সালেও স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য আগে কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। সে বার ৩০ মে কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কথা জানিয়েছিল মৌসম ভবন। এ ছাড়া, ২০০৯ সালে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ২৩ মে, এ বছরের চেয়ে এক দিন আগে।

Advertisement

মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে বর্ষা প্রবেশের তারিখ যথাক্রমে ৩১ মে, ২৯ মে, ৫ জুন, ১ জুন, ৬ জুন, ৫ জুন, ৮ জুন, ৩০ মে, ২৯ মে, ৮ জুন, ১ জুন, ৩ জুন, ২৯ মে এবং ৮ জুন।

কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগাম প্রবেশের সম্ভাবনা আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরলে আগাম বর্ষা প্রবেশ করলে বাংলার ক্ষেত্রেও তা হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের আনুষ্ঠানিক সময় ১০ জুন। আপাতত বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে দিকে নজর রেখেছেন আবহবিদেরা। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভিজতে পারে কলকাতাও।

কেরলে বর্ষার সবচেয়ে তাড়াতাড়ি প্রবেশের নজির তৈরি হয়েছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর ১১ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা ঢুকে পড়েছিল কেরলে। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দেরি করে কেরলে বর্ষা প্রবেশের নজির রয়েছে ১৯৭২ সালে। সে বছর বর্ষা এসেছিল ১৮ জুন।

শনিবার কেরল, কর্নাটকের দক্ষিণ অংশ এবং গোয়ার কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ মে পর্যন্ত কেরল এবং কর্নাটকের উপকূলে বর্ষণ চলবে। সঙ্গে থাকতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ