সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুমন্তব্য করার দায়ে বিজেপি নেতাকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করার দাবিতে মোদির দ্বারস্থ পরিবার!
বাংলার জনরব ডেস্ক : কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে কটাক্ষ করার জন্য অবিলম্বে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দারস্ত হলেন কর্নেল সোফিয়া করেছি পরিবার। অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কর্নেল কুরেশির ভাই বান্টি সুলেমান বলেন, সোফিয়া গোটা দেশের কন্যা। তাঁকে নিয়ে এমন মন্তব্য আসলে ক্ষমার অযোগ্য। উল্লেখ্য, কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে কটাক্ষ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। নির্ভুল ও নিখুঁত সেই হামলার পর সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা দেশকে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শাহ।
বিজয় বলেন, “ওরা আমাদের হিন্দু ভাইদের পোশাক খুলে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি ওদের (জঙ্গিদের) বোনকে ওদের বাড়িতে হামলার জন্য পাঠিয়েছেন। ওরা (জঙ্গিরা) আমাদের বোনকে বিধবা করেছে, তাই মোদিজি ওদের সম্প্রদায়ের বোনকেই ওদের পোশাক খুলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।” এই মন্তব্যে সোফিয়া কুরেশির (Sofiya Qureshi) নাম না নিলেও মন্তব্য যে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। কুমন্তব্যের জেরে বিজয়কে তিরস্কার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রক্ষাকবচের আবেদনও খারিজ হয়েছে শীর্ষ আদালতে।
এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে সোফিয়ার পরিবার। অবিলম্বে জনজাতি উন্নয়ন দপ্তর থেকে সরানো হোক মন্ত্রীকে, এই আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছেও। মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরের বাসিন্দা কুরেশি পরিবারের সদস্য বান্টির কথায়, “সোফিয়া কেবল আমাদের কন্যা নয়, এই দেশের কন্যা, সেনাবাহিনীর কন্যা। তাই মন্ত্রীর এমন মন্তব্য নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য।” যদিও মধ্যপ্রদেশ বিজেপির নেতারা সোফিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছেন যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাল বীরাঙ্গনার পরিবার।