কলকাতা দেশ 

২৬ হাজার চাকরি বাতিল সুপ্রিম নির্দেশের উপর রিভিউ পিটিশন করল রাজ্য ও এসএসসি, বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকার ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। গতকাল ছিল রিভিউ পিটিশন দাখিলের শেষ দিন। কারণ গত ৩রা এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ের ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগকৃত সমস্ত প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশের এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের যে বিচারপতি রায় দেন সেই বিচারপতির কাছেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে হয়। সেই মতো গতকালই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন।

আর সেই রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার ৮ই মে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই রিভিউ পিটিশন শোনা হবে বলে জানা গেছে।

Advertisement

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসির ২৬ হাজার (আদতে ২৫,৭৩৫) চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ অনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে এসএসসি। দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরত দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের কোনও অংশই এখনও অবধি কার্যকর করা হয়নি। এসএসসি এবং রাজ্য আগেই জানিয়েছিল, পুরো রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) করা হবে। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছিল। আর ৩ মে রিভিউ পিটিশন করতে চেয়ে আবেদন করা হয়। রায় ঘোষণার ঠিক এক মাসের মাথায় রায়ে পরিবর্তন চেয়ে মামলা দায়ের করল রাজ্য এবং এসএসসি।

আগামী ১৩ মে প্রধান বিচারপতি খন্না অবসর নেবেন। তার আগে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হতে পারে বলে মনে করছেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করেছে, তাতে এই রায় পুনর্বিবেচনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পূর্বের রায়ই বহাল রাখতে পারে আদালত। এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও এখন কেন রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি করতে হল? তা ছাড়া বেশির ভাগ মামলায় দেখা দিয়েছে, তথ্যগত বিভ্রান্তি বা ভুল থাকলে আদালত নিজের রায় পরিবর্তন করে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই।’’

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ