কলকাতা 

চাকরি হারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : চাকরি হারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য বেতনের ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যোগ্য শিক্ষকদের আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ পাবে। কিন্তু অশিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের কোন সুযোগ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট তাদের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে। ২০১৬ এর প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের ব্যবস্থা করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই বেতন দেওয়া হবে শ্রম দফতর থেকে। গ্রুপ সি কর্মচারীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মচারীদের কুড়ি হাজার টাকা করে প্রতিমাসে দেয়া হবে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিন নবান্ন সভাঘরে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। সেখানেই ফোনে চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানান, চাকরিহারাদের জন্য রাজ্য সরকার ব্যথিত। আদালতের রায় অমান্য করা সম্ভব নয়। তবে কীভাবে তাঁদের সংসার চলবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারও চিন্তিত। তাই তাঁদের জন্য় বিকল্প বেতনের প্রস্তাব দেন মমতা। চাকরিহারা গ্রুপ কর্মীদের মাসিক ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি চাকরিহারাদের জন্য ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকারের শ্রম দফতর। এর সঙ্গে শিক্ষা দফতর যুক্ত করছে না রাজ্য।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজ্য সরকার ডানলপের বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের মাসিক ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করে। তেমনই গ্রুপ সি ও গ্রু ডি-র চাকরিহারাদের আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। ওঁরা রাজি থাকলে এই টাকা দেওয়া হবে। যতদিন না আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হয়।”

সুপ্রিম রায়ে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতে যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে আদালত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগের সময় দিয়েছেন বিচারপতি।

ততদিন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা চাকরি করতে পারবেন, সঙ্গে মিলবে বেতনও। কিন্তু চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের কাজে ফেরার অনুমতি দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন মমতা। মাসিক ভাতার ঘোষণা করলেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ